মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের একটি সামরিক ঘাঁটির নিকটে শহিদী হামলা চালিয়েছে আল-কায়েদা, এতে ২০ এরও অধিক ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়েছে। এছাড়াও আরো ২টি বীরত্বপূর্ণ হামলা চালিয়েছি দলটি। এসব হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ফ্রান্সের।
আল-কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন সম্প্রতি লিখিত আকারে ৪ পৃষ্ঠার নতুন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। আয-যাল্লাকা মিডিয়া ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত উক্ত বিবৃতিতে সম্প্রতিক সময়ে ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক কাফেলার উপর মুজাহিদদের কয়েকটি বীরত্বপূর্ণ হামলা ও একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে ক্রুসেডার ফ্রান্সের বিমান হামলা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিবৃতিটিতে বলা হয় যে, ক্রুসেডার আফ্রিকার দেশগুলোতে দিনের পর দিন যুদ্ধাপরাধ চালিয়েই যাচ্ছে, আর ত্বাগুতী মিডিয়াগুলোর মাধ্যমে তাকে ঢাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের সর্বশেষ অপরাধগুলির মধ্যে একটি হ’ল বুন্টি শহরে মুসলিমদের একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে ফরাসী সৈন্যদের নৃশংস বিমান হামলা, যা গত রবিবার ৩ জানুয়ারী ২০২১ খ্রিস্টাব্দে দুপুর বেলায় সংঘটিত হয়েছিল, যাতে প্রায় ১০০ বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছিল। আল্লাহ তা’আলা নিহতদের শহীদদের মধ্যে গ্রহণ করুন এবং আহতদের অতি দ্রুত সুস্থতার নিয়ামত দান করুন, আমিন।
বার্তাটিতে আল-কায়েদা ক্রুসেডার ফ্রান্সের এমন নৃশংস বিমান হামলার কঠোর নিন্দা জানায় এবং এর জন্য ফ্রান্সকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করে দলটি।
এরপর ক্রুসেডার ফ্রান্সের এমন নৃশংস হামলা ও রাসূলুল্লাহ্ (সা:) কে অবমাননা করার প্রতিশোধ নিতে সম্প্রতি মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের বিরুদ্ধে মুজাহিদদের পরিচালিত কয়েকটি অভিযানের কথা উল্লেখ করা হয়।
যেখানে বলা হয়েছে, গত ৮ জানুয়ারি মুজাহিগণ মালির কাইদাল রাজ্যের ‘আমশান’ অঞ্চলের ২টি স্থানে ক্রুসেডার ফ্রান্সের ‘বোরখান’ ফোর্স ও জাতিসংঘের ‘মিনোসুমা’ ক্রুসেডার জোট বাহিনীর বিরুদ্ধে সফল হামলা চালিয়েছেন JNIM মুজাহিদগণ। এসময় মুজাহিদগণ 130mm ক্ষেপণাস্ত্র এবং 120mm মর্টার শেল দ্বারা ক্রুসেডার বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিলেন, যা ক্রুসেডার বাহিনীর অবস্থানে সরাসরি আঘাত হানে। যার ফলে ক্রুসেডার ফ্রান্স ও মিনোসুমা বাহিনীর সামরিকযান ও সরঞ্জামাদি ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বেশ কিছু ক্রুসেডার সৈন্য হতাহত হয়।
একইদিন ভোর বেলায় কাইদাল রাজ্য থেকে ২০০ কি.মি. দূরে ক্রুসেডার ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ একটি সামরিক বিমান ঘাঁটির নিকট সবাচাইতে সফল অভিযানটি চালানো হয়। JNIM এর ‘আব্দুল আজিজ আল-আনসারী’ নামক একজন জানবায মুজাহিদ একটি গাড়ি বোমার মাধ্যমে উক্ত সফল ও শক্তিশালী ইস্তেশহাদী হামলাটি পরিচালনা করেন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে, উক্ত হামলায় ক্রুসেডার ফ্রান্সের অন্ততপক্ষে ২০ সৈন্য নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো অনেক। এছাড়াও ক্রুসেডার বাহিনীর সামরিক সরঞ্জামাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে।
এই অপারেশন সম্পর্কে ফরাসিদের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি, আর এটি তাদের চিরাচরিত অভ্যাস। কেননা ফরাসিরা সবসময়ই তাদের প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির গোপন করতে অভ্যস্ত।
বার্তাটির উপসংহারে বলা হয়, আমরা ফরাসী সরকার এবং এর জনগণকে বলতে চাই যে, মালি ভূমিতে তোদের দেশের সৈন্যরা দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে এমন ধারণা করাটা বোকামি। দখলদার ফ্রান্স এবং তার সামরিক বাহিনী যতই শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের দখলদারিত্ব থেকে জনগণের স্বাধীনতার ইচ্ছাকে পরাস্ত করতে পারবে না। দখলদারিত্বের অবসানের ইচ্ছার এই আগুন দিন দিন আরো প্রজ্বলিত হতে থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।
ফ্রান্স মালির কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনও আক্রমণ প্রত্যক্ষ করেনি। আমরা এই ভূমি থেকে সর্বশেষ দখলদার সৈন্যটি চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব, আর যদি এখান থেকে দখলদাররা সরে না যায়, তবে ফ্রান্স মালির ভূমি থেকে আরও কঠোর, তীব্র এবং আরও সুনির্দিষ্ট আক্রমণ দেখতে পাবে। যা তোমাদের পরাজয়কে আরো নিকটবর্তী করবে। بإذن الله
আলহামদুলিল্লাহ! ভাই এটি উইটুবে আপলোড করুন!
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আপনাদের উত্তম জাজা দান করুন। আমাদের জন্যে ও দোয়া করুন।
আলহামদুলিলাহ