“জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, ইয়েমেনের প্রায় ৩০ মিলিয়ন জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোক এবং ১২ মিলিয়ন শিশুর জন্য জরুরী ভিত্তিতে খাদ্য সরবরাহের প্রয়োজন রয়েছে।”
দেশটিতে গৃহযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ এবং কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালে ইয়েমেনে মানবিক সংকট আগের বছরগুলোর তুলনায় আরও খারাপ হয়েছে। ২০১৪ সালে দেশে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের জনগণের মানবিক সঙ্কট জটিল পর্যায়ে পৌঁছেছে। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুসারে, ইয়েমেনের প্রায় ৩০ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ লোকের জন্যই এখন সাহায্যের প্রয়োজন।
ইউএন এবং মানবিক সংস্থাগুলি ২০২০ সালে ইয়েমেনকে পর্যাপ্ত পরিমাণে সহায়তাও করেনি। তারা আর্থিক সংকটের কথা বলে নিজেদের
দায় এড়িয়ে চলছে। ২০২০ সালে দেশে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের জন্য ৩ বিলিয়ন ২০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন থাকলেও ইয়েমেনে মাত্র ১ বিলিয়ন ৬৫০ মিলিয়ন ডলারে দেওয়া হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছিল যে ইয়েমেনের ৩০০ এরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক খাদ্য ও স্বাস্থ্য সহায়তা কেন্দ্র হ্রাস করা হয়েছে এবং ৪৫ টি সহায়তা কেন্দ্রের মধ্যে ১৫ টি সহায়তা কেন্দ্র তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে এখানে দুর্ভিক্ষ রোধের সম্ভাবনা দিন দিন কমছেই।
২০২০ সালে সংঘাত বৃদ্ধি এবং দেশে মানবিক সহায়তা হ্রাস হওয়ার কারণে ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত সমস্যা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতে ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষ রোধের সম্ভাবনা দিন দিন কমছে।
এদিকে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে অপুষ্টিতে আক্রান্ত ইয়েমেনিদের সংখ্যা ৫ মিলিয়নে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইতিমধ্যে দেশের অর্ধেকেরও বেশি লোক খাদ্য সংকটে পড়েছে। এবিষয়ে এখনই জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে অপুষ্টির কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে। ২০২১ সালের মধ্যে গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটাতে অগ্রগতি না হলে ইয়ামানের জন্য একটি খারাপ বছর অপেক্ষা করছে।