ক্রুসেডার আমিরিকার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন বলেছে, সে পবিত্র আল-কুদস বা জেরুসালেম শহরকে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের রাজধানী মনে করে।
গত ১৯ জানুয়ারি সিনেটের এক শুনানিতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় সে জেরুসালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী মনে করেন কিনা এবং ট্রাম্পের বিদায়ের পর জেরুসালেম শহরেই মার্কিন দূতাবাস রাখা হবে কিনা। জবাবে ব্লিংকেন দুইবার হ্যাঁ বলে।
দীর্ঘদিনের অনুসৃত নীতি উপেক্ষা করে লম্পট ট্রাম্প ফিলিস্তিনের জেরুসালেম শহরকে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে অবৈধভাবে স্বীকৃতি দেয় এবং তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুসালেম শহরে স্থানান্তর করে।
আমেরিকার নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, আন্তর্জাতিক যে সমস্ত আইন ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে জেরুসালেম শহরকে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে দখল হয়ে যাওয়া শহর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্লিংকেনের বক্তব্য তার সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, এটি সমস্ত আরব জাতির জন্য আরেকটি প্রকাশ্য অপমান।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেসব দেশ বাইডেন প্রশাসনের কাছে নতুন কিছু প্রত্যাশা করছিল এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে মার্কিন প্রশাসন তাদের মুখে থাপ্পড় মেরেছে। ব্লিংকেনের এই বক্তব্যের মধ্যদিয়ে আবার পরিষ্কার হলো যে, তারা দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েল সরকারকে সমর্থন করছে এবং তাদের নেতৃত্বে কোনো পরিবর্তন আসবে না। এও পরিষ্কার হলো যে, ফিলিস্তিনকে উদ্ধারের একমাত্র পথ জিহাদ-ফি-সাবিলিল্লাহ্।