বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদক বাংলাদেশ। এরপরেও বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোহিঙ্গা সংকটকে পাশ কাটিয়ে চাল কিনতে মিয়ানমারের দিকে ঝুঁকছে সরকার। খুব শিগগিরই দেশটি থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য বাংলাদেশের জন্য বড় সমস্যা। রোহিঙ্গা ইস্যুকে পাশ কাটিয়েই মিয়ানমারের শরণাপন্ন হচ্ছে সরকার।
এর মধ্যেই গত রোববার খাদ্য সচিব মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম রয়টার্সকে বলেছে, বাংলাদেশ আন্তঃসরকার চুক্তির (জি-টু-জি) মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে প্রতি টন ৪৮৫ ডলার দামে সাদা চাল কিনবে। চালের দাম, বীমা, পরিবহন ব্যয় সব এর মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি জানান, সরকার সর্বোচ্চ এক কোটি টন চাল কিনতে পারে এবং আগামী জুনের মধ্যে বেসরকারি ব্যবসায়ীদের আরও এক কোটি টন কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শিগগিরই চুক্তি সই হবে এবং আগামী এপ্রিলের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সেগুলো সরবরাহ করা হবে।
রয়টার্সের তথ্যমতে, ভারতের সরকারি সংস্থা এনএএফইডির সঙ্গে জি-টু-জি চুক্তির মাধ্যমে আরও দেড় লাখ টন চাল কিনছে বাংলাদেশ।
মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেছে, আমরা আন্তঃসরকার চুক্তিতে ভারত থেকে আরও চাল কিনতে পারি। এ বিষয়ে ভারতের আরও কয়েকটি সরকারি সংস্থার সঙ্গে খাদ্য মন্ত্রণালয় আলোচনা করছে বলেও জানায়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর উৎপাদিত সাড়ে তিন কোটি টন চালের প্রায় পুরোটাই নিজস্ব চাহিদা মেটাতে ব্যবহৃত হয়।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সঙ্গে বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের এই দ্বন্দ্বের কারণ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী। ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাদের দমন-পীড়নে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। জাতিসংঘের তদন্তকারীরা বলেছেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে নির্যাতন চালিয়েছে।