ভারতে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য কারা চাঁদা দিচ্ছে আর কারা দিচ্ছে না, ‘নাৎসি কায়দায়’ আরএসএস তা চিহ্নিত করে রাখছে। এইচ ডি কুমারাস্বামী এ অভিযোগ করেছে।
অন্যায়ভাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অযোধ্যায় শহিদ বাবরি মসজিদের স্থানে রামমন্দির বানানো অনুমতি দেয়। তারপর থেকেই সারা দেশ জুড়েই অর্থ সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছে হিন্দু ট্রাস্ট।
তবে সেই চাঁদা তোলার নামে নানা রাজ্যেই মুসলমানদের উপর হামলা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা থেকে রেহাই পায়নি আল্লাহ তায়ালার ঘর মসজিদও।
বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরাও দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মন্দিরের জন্য চাঁদা তুলছে।
It appears that those collecting donations for the construction of Ram Mandir have been separately marking the houses of those who paid money and those who did not. This is similar to what Nazis did in Germany during the regime of Hitler when lakhs of people lost their lives..
— H D Kumaraswamy (@hd_kumaraswamy) February 15, 2021
এই পটভূমিতেই মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন কর্নাটকের সিনিয়র রাজনীতিবিদ এইচ ডি কুমারাস্বামী, একের পর এক টুইট করে তিনি দাবি করে কোন কোন বাড়ি থেকে মন্দিরের জন্য চাঁদা দেওয়া হচ্ছে আর কারা দিচ্ছে না আরএসএস সেগুলোকে চিনে রাখছে।
সে আরো মন্তব্য করে “ঠিক যেভাবে নাৎসি জমানায় হিটলার করেছিল, তার শাসনে মৃত্যু হয়েছিল লক্ষ লক্ষ মানুষের,”
কর্নাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কুমারাস্বামীর অভিযোগ অবশ্য আরও গুরুতর – তিনি দাবি করছেন, কারা রামমন্দিরের জন্য চাঁদা দিচ্ছেন না তাদের তালিকা তৈরি করে রাখছে আরএসএস।
জার্মানিতে নাৎসি পার্টি আর ভারতে হিন্দুত্ববাদী আরএসএস যে একই সময়ে ও একই ধরনের আদর্শ নিয়ে গড়ে উঠেছিল, ঐতিহাসিকদের উদ্ধৃত করে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
এদিকে, স্বেচ্ছায় যারা রামমন্দির নির্মাণে অর্থ দিতে রাজি নন – তাদের শত্রু হিসেবে চিনে রাখা হচ্ছে,
উল্লেখ্য, মুসলিমদের ঐতিহ্যবাহী বাবরি মসজিদকে শহিদ করে সে স্থানে মালাউনদের রাম মন্দির বানানো হচ্ছে। যেখানে আগে এক আল্লাহর ইবাদত করা হত, সেখানে এখন গায়রুল্লাহর পুজা করা হবে। কুফুর, শিরকের মত জঘন্য কাজ করা হবে। ফলে মসজিদ শহিদ করা থেকে মুসলিমদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এখন রাম মন্দিরের চাঁদা হচ্ছে মুসলিমদের কাটা গায়ে লবণের ছিটার মত। ফলে যারা চাঁদা দেওয়া থেকে বিরত থাকছেন তাঁদেরকে সন্ত্রাসী দল আরএসএস শত্রু হিসেবে চিহিৃত করে তালিকা তৈরি করে রাখছে।