আফ্রিকার দেশ চাদ, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে মালি এবং এর আশেপাশের দেশগুলোতে নতুন করে আরো মুরতাদ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আফ্রিকার দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস দেবির সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে যে, তার দেশ মালি, বুর্কিনা-ফাসো ও নাইজার সীমান্তে নতুন করে ১২০০ সেনা মোতায়েন করার পরিকল্পনা করেছে।
মুরতাদ বাহিনীটি এই অঞ্চলে আল-কায়েদা মুজাহিদদের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি রুখতে কাজ করবে। চাদকে এই অঞ্চলটির দেশগুলির মধ্যে সবাচাইতে সজ্জিত সেনাবাহিনীযুক্ত দেশ হিসাবে দেখা হয়। মালিতে আল-কায়েদা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে চাদ সেনাবাহিনী ছিল ক্রুসেডার ফ্রান্সের বৃহত্তম সহযোগী ও সমর্থক বাহিনী। ধারণা করা হচ্ছে যে, মুজাহিদদের কাছে লাঞ্চনাকর পরাজয়ের পর ক্রুসেডার ফ্রান্স মালিতে সেনার সংখ্যা হ্রাস করার সাথে সাথে চাদ এই প্রক্রিয়াতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নেবে। যদিও ২০২০ সালের এপ্রিলে দেশটির প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিল যে, তার দেশের সামরিক ইউনিট এখন থেকে দেশের সীমানার বাইরে সামরিক অভিযানে অংশ নেবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সম্প্রতি এই অঞ্চলে আল কায়েদা পশ্চিম আফ্রিকা শাখা জামা’য়াত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জিএনআইএম) পূর্বের তুলনায় কার্যক্রম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করায় হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ইদ্রিস।
এর আগে আল-কায়েদার এই শাখাটি তাদের অফিসিয়াল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, দখলদার ইহুদীদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করায় চাদে অভিযান বৃদ্ধি করেছেন তারা। যা চলমান থাকবে এবং বৃদ্ধি পেতে থাকবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে মালিতে ক্রুসেডার ফ্রান্সের সামরিক হস্তক্ষেপের পরে চাদের গোলাম সরকার ও মুরতাদ বাহিনীর মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফ্রান্সের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক অংশীদার হিসাবে কাজ করেছিল।