নীলফামারীর সৈয়দপুরে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাতের এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগসহ প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ আজ রোববার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভায় বক্তব্য বলেন, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমুখ। সভায় বক্তারা এ হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে সৈয়দপুর পৌরসভার গোলাহাট ২ নম্বর উর্দুভাষী (বিহারী) ক্যাম্প এলাকায় প্রচারণা চালান জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক। এরপর প্রচারণা শেষে তিনি কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরার পথে ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হিটলার চৌধুরী ভুলুর বাসার সামনে এলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন দৈনিক আমাদের সময়কে জানান, প্রচারণা শেষে তারা নির্বাচনী কার্যালয়ে ফেরার সময় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে উদ্দেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে স্থানীয় লোকজন প্রতিবাদ করলে তারা আওয়ামী লীগ নেতা হিটলার চৌধুরী ভলুর বাসায় হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ওই নেতার বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, এখনো কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি।
আমাদের সময়