বরিশালের উজিরপুরে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিরু রায়হান হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নিহতের স্ত্রী সৈয়দা শাহিন আক্তার। রোববার দুপুরে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। জমিজমা বিরোধের ছুতায় ইসলাম গ্রহণের কারণে ভাইদের হাতে স্বামী খুন হন বলে তিনি দাবী করেন।
এসময় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের দ্রত শাস্তির দাবি জানান স্ত্রী শাহিন আক্তার।
নিরু ২০০১ সালে তিনি ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে সৈয়দা শাহিন আক্তারকে বিয়ে করেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিরু বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ধামুরা গজেন্দ্র গামের মৃত যোগেশ শীলে পুত্র।
তিনি আরো বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ করে না দেয়ায় তিন ভাইয়ের সাথে নিরুর দ্বন্দ্ব ছিলো। এর প্রেক্ষিতে ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের ফ্রেব্রুয়ারী পর্যন্ত মোট ৬ বার নিরু তার নিজ বাড়ী উজিরপুরে আসা যাওয়া করে। এসময় ভাইদের সাথে ঝগড়াসহ হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
স্ত্রী জানান, ২০১৯ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাসে ফের বাড়িতে গিয়ে তার পাওনা সম্পত্তি দাবি করে শালিস বৈঠকে বসার হুমকি দেয়। এরপর প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি তার ভাইয়েরা কিস্তিতে কিনে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। চুক্তি অনুযায়ী জমির মূল্যের প্রথম কিস্তির ২২ লক্ষ নিয়ে আসতে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল নিরু পৈত্রিক ভিটায় ভাইদের কাছে যায়। এর কয়েক দিন পর ২১ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৪টায় নিহত নিরুর ছোট ভাই মনোরঞ্জন শীল ফোন করে তার মৃত্যুর খবর জানান। স্ত্রী শাহিন আক্তার তার শশুর বাড়িতে পৌঁছানোর আগেই দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এই ঘটনার ৮ মাস পরে স্বামীর সম্পত্তি বুঝে নিতে স্ত্রী শাহিন আক্তার শ্বশুর বাড়ি গেলে তাকে ও তার সন্তানকে অস্বীকার করেন নিহতের ভাইয়েরা। এর পেক্ষিতে উজিরপুর থানায় ২০২০ সালের ১৯ ফ্রেব্রুয়ারী একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
অধ্যাপক নিরু রায়হান হত্যায় দোষীদের সুষ্ঠু বিচার ও সম্পত্তি বুঝে পাওয়ার দাবিতে স্ত্রী সৈয়দা শাহিন আক্তার সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।