ভারতের উত্তরাখণ্ডে ১৫০ মন্দিরে ‘অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ

1
1134
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ১৫০ মন্দিরে ‘অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ

ভারতের দেহারুদুনে ১৫০টি মন্দিরে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেয়া হলো, ‘অ-হিন্দুদের প্রবেশ নিষেধ’। এই নির্দেশিকাটি ঝুলিয়েছে হিন্দু যুবা বাহিনী নামের একটি সংগঠন।

এর আগে উত্তর প্রদেশে একটি মন্দিরে মুসলিম যুবক পানি খেয়েছিল বলে তাকে মারধর করা হয়েছিল। গাজিয়াবাদের ওই দাসনাদেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত হল নরসিংহানন্দ। তারই অনুগামীরা দেহরাদূনের চাকার্তা রোড, শুদ্ধওয়ালা, প্রেম নগরসহ বিভিন্ন এলাকার ১৫০টি মন্দিরে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেয়। কোনো অ-হিন্দু সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না।

হিন্দু যুবা বাহিনীর নেতা জিতু বান্ধোয়া জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের সব মন্দিরে তারা এই নির্দেশিকা লাগিয়ে দেবে। উত্তরাখণ্ডকে বলা হয় দেবতার আবাস। এখানে কেদারনাথ, বদ্রীনাথসহ অনেক প্রসিদ্ধ হিন্দু দেবস্থান আছে। হরিদ্বার, ঋষিকেশকে তো মন্দিরনগরী বলা হয়। সেখানে এই ধরনের নির্দেশিকা এতদিন দেখা যায়নি।

জিতু বান্ধোয়া আরো জানান, নরসিংহানন্দের সমর্থনেই তারা এই কাজ করেছেন। তার অভিযোগ, দাসনার মন্দির নিয়ে বিএসপি-র বিধায়ক আসলাম চৌধুরী বলেছেন, ওই জায়গাটা তার পূর্বপুরুষের সম্পত্তি। তাই ওখান থেকে মুসলিমদের প্রবেশ নিষেধ এই নির্দেশিকা সরাতে হবে। নরসিংহানন্দের সমর্থনে ও বিএসপি বিধায়কের কথার প্রতিবাদে তারা উত্তরাখণ্ডে নির্দেশিকা দিয়ে দিচ্ছেন। তার মতে, সনাতন ধর্মে বিশ্বাসীরাই কেবল মন্দিরে ঢোকার অধিকারী।

উত্তরাখণ্ডে যে নির্দেশিকা ঝোলানো হয়েছে তার সাথে জড়িয়ে রয়েছে গাজিয়াবাদে মন্দিরের ঘটনা। তাই এই নির্দেশিকা আলাদা মাত্রা পেয়েছে।

প্রবীণ সাংবাদিক সৌম্য বন্দ্যোপাধায়ের মতে, বিষয়টিকে একটা বৃহত্তর পটভূমিকায় দেখতে হবে। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এখন আরএসএসের কোর ইস্যুগুলোর রূপায়ণ করছে। তারা ৩৭০ ধারার বিলোপ করেছে। অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণ শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতারা বলছেন, এরপর অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হবে। তারা ২০২৪ সালের মধ্যে কোর ইস্যুর রূপায়ণ করতে চায়। তারা ওই দিকেই মানুষের নজর নিয়ে যেতে চায়।’

সূত্র : ডয়চে ভেলে

১টি মন্তব্য

Leave a Reply to মুনতাসির প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধউখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: দুই শিশুসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭
পরবর্তী নিবন্ধকসাই মোদির অপরাধনামা! (দ্বিতীয় পর্ব)