
দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতে ইসলামের ডাকা শান্তিপূর্ণ হরতালে তাওহীদি জনতাকে লক্ষ্য করে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে হিন্দুত্ববাদী আওয়ামী সরকারের জোট বাহিনী। এতে শহীদবাড়িয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও হাটহাজারিতেই শহিদ হয়েছেন ১৮ জন। আহত হয়েছেন কয়েক শতাধিক।
হাজারো নিরপরাধ মানুষের রক্ত হালালকারী হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কসাই মোদি গত ২৬ মার্চ, মাদার ওফ মাফিয়া বা খুনী হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে দুইদিনের সফরে আসে বাংলাদেশে। যার হাতে লেগে আছে হাজারো মুসলমানের রক্ত, খুনী মোদীর আগমনের প্রতিবাদে ইসলামপ্রিয় তাওহীদি জনতা দলীয় ডাক ছাড়াই এদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে মোদি বিরোধী বিক্ষোভে বের হন। কিন্তু হিন্দুত্ববাদের এই দেশীয় গোলাম আওয়ামী সরকারের পোষা ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মুরতাদ সামরিক বাহিনী তাওহীদি জনতার এই আন্দোলন মেনে নিতে পারেনি। যার প্রেক্ষিতে ভারতের এদেশীয় গোলামরা তাওহীদি জনতার উপর দেশীয় এবং আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আরএসএসের আদলে এসব গুন্ডা বাহিনীগুলো তাওহীদি জনতার রক্ত জড়াতে থাকে। অনেককে শহিদ করে।
এরফলে রবিবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হরতালের ডাক দেয় অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন জেলায় এদিন ভোর হতেই শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করতে শুরু করে সাধারন মুসলিম ও ছাত্ররা। কিন্তু হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় এদেশীয় গোলামরা তাদের খোদা হাসিনা ও মোদিকে খুশি করতে তাওহীদি জনতার শান্তিপূর্ণ হরতালেও সেই একই কায়দায় হামলা চালাতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাওহীদি জনতার উপর হামলার মাত্রাও বৃদ্ধি করতে থাকে মুরতাদ আওমী ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও হাসিনার পোশা মুরতাদ সামরিক বাহিনীগুলো। এতে একের পর এক জড়তে থাকে তাজা প্রাণ।
দেশীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, শুক্রবার (২৬ মার্চ) থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত আওয়ামী মুরতাদ বাহিনীর হামলায় দেশের ২টি জেলা শহীদবাড়িয়ায় (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ১৩ জন এবং হাটহাজারিতে ৫ জন শিক্ষার্থী ও তাওহীদি জনতা শাহাদাত বরণ করেছেন (ইনশাআল্লাহ্)। আহত হয়েছেন আরো কয়েক শতাধিক। আহতদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মধুপুরের পীর সাহেব মাওলানা আব্দুল হামীদ হাফিজাহুল্লাহ রয়েছেন।
যারা শহিদ হয়েছেন তাদের একটি তালিকা-
শহীদ মাওলানা হোসাইন, শহীদ জাকারিয়া, শহীদ মোহাম্মদ কাউসার, শহীদ যুবায়ের, শহীদ সুজন মিয়া, শহীদ বাদল মিয়া, শহীদ জুরু আলম, শহীদ আশিক, শহিদ নাসরুল্লাহ্, শহীদ মেরাজুল ইসলাম, শহীদ রবিউল ইসলাম, শহীদ ওয়াহিদুল ইসলাম, শহীদ আল-আমিন, শহীদ হাদিস মিয়া ওরফে কালন, শহীদ রবিউল ইসলাম, শহীদ মেরাজ, শহীদ জামিল ও শহীদ আব্দুল্লাহ্।
আল্লাহ তাদের সাহাদাত-কে কবুল করুন আমিন,
ছুম্মা আমিন
তাগুত আওয়ামীলীগকে গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।তাই পাড়ায় পাড়ায় ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা তৈরী করুন।
আল্লাহ তাদের সাহাদাত-কে কবুল করুন আমিন,
ছুম্মা আমিন