ক্রুসেডার আমেরিকা ও ন্যাটো জোট বাহিনী আগামী মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সরে না গেলে তালিবান শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিতে পারে।
আল-ফিরদাউস নিউজের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, দোহার চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুসারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সরে না উঠলে, তালেবান প্রতিনিধিরা চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে শান্তি আলোচনা বন্ধ করে টেবিল ছেড়ে দিতে পারেন।
আগামী এপ্রিল মাসে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হবে শীর্ষ সম্মেলন। তালেবানরা এসময় মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারেন। এমন সম্ভাবনাই এখন শান্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কিত আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। কেননা তালেবান এপর্যন্ত তাদের বেশ কিছু বার্তায় মার্কিন বাহিনীর উপর হামলা চালানোর হুশিয়ারী দিয়ে রেখেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়বে কিনা, তার উপর নির্ভর করেই তালিবানরা অবস্থান নিতে পারেন।
বাইডেন প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল যে, মার্কিন সামরিক বাহিনী মে মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সরে আসতে পারবে না এবং ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল যে এই প্রত্যাহারটি নভেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করা হতে পারে।
এদিকে তালেবান চায় যে, মার্কিন বাহিনী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাক। তালেবান বাইডেন প্রশাসনকে উদ্দ্যেশ্য করে দেওয়া তাদের সর্বশেষ বিবৃতিতে বলেছিল যে, যদি দখলদার বাহিনী নির্ধারিত সময়ে আফগানিস্তান ছেড়ে না যায়, সেক্ষেত্রে ইসলামি ইমারত ইমানদার, অকুতোভয় এবং আফগান মুজাহিদ জাতির উত্তরসূরি হিসেবে দ্বীন এবং এই জমিন রক্ষার্থে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে। তারা আফগানকে দখলদারদের রক্তভেজা হাত থেকে মুক্ত করতে অবশ্যই আল্লাহর রাস্তায় সশস্ত্র জিহাদে জান ও মাল ব্যয় করবে। তখন চুক্তির লঙ্ঘনের জন্য যুদ্ধ, মৃত্যু, ধ্বংস এবং ক্ষয়ক্ষতির জন্য শুধুই আমেরিকা দায়ী থাকবে।
Allah amader sohay hoon….
কাফেরদের বিরুদ্ধে মুমিনকে এমন হওয়া উচিৎ!
ঠিক।