সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের খান শাইখুন শহরে ২০১৭ সালের ৪ ই এপ্রিল কুখ্যাত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে ইতিহাসের জঘণ্যতম গণহত্যা চালায়। এতে ৩২ শিশুসহ শতাধিক মুসলিম নিহত হন, আহত হয় আরো পাঁচ শতাধিক বেসামরিক লোক।
ইতিহাসের আলোচিত এই গণহত্যায় কুখ্যাত বাশার আল আসাদের অনুগত বাহিনী বিমান হামলা চালিয়ে সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের জনবহুলপূর্ণ খান শাইখুন শহরে রাসায়নিক বোমা নিক্ষেপ করে। বোমাগুলো বিষাক্ত সারিন গ্যাসের নিঃসরণ ঘটিয়ে নিমিষেই শহরটিকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করে।
সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধে বাশার আল আসাদ কর্তৃক ২০১৩ সালে গৌতা শহরে প্রয়োগকৃত প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্রের প্রয়োগের পর এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হতাহতের ঘটনা।
মৃত্যু আর ধ্বংসজ্ঞের পরিমাণ বহুগুণে বৃদ্ধি করতে আক্রমণটি সকাল ৬:৩০ নাগাদ চালানো হয়, যখন শিশুরা স্কুলের উদ্দেশ্যে আর বড়রা কাজে বেড়িয়ে পড়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেদিন আসাদ বাহিনীর বিমান হামলায় বোমা বর্ষণের দশ মিনিটের মধ্যেই বিষাক্ত সারিন গ্যাস চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে আর স্বল্প সময়ের মধ্যেই প্রাণঘাতী লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
স্বেচ্ছাসেবী হোয়াইট হেমলেট সদস্যরা জানান, সচরাচর এরকম হামলা লক্ষ্য করা যায় না। আহত ও মুমূর্ষু লোকদের ইদলিব প্রদেশের আল রাহমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মীরা জানান, অতীতের আসাদ বাহিনীর চালানো ক্লোরিন গ্যাস আক্রমণ থেকে এটা ছিল ভিন্নতর ও অধিক প্রাণঘাতী। ক্লোরিন গ্যাস আক্রমণে হামলার নির্দিষ্ট স্থানটিতে স্বল্প সংখ্যক লোক মারা যান, কিন্তু খান শাইখুন হামলায় দূরবর্তী স্থানের লোকও ব্যপকহারে আক্রান্ত হন।
হামলাটি স্নায়ুতন্ত্রের মারাত্মকভাবে ক্ষতিসাধন করে, যার দরুন বিপুল সংখ্যক লোক স্বল্প সময়েই মৃত্যুর কূলে ঢলে পড়েন।