গণআন্দোলনে ভয়ে আতংকিত হিন্দুত্ববাদী মাফিয়া আওয়ামী সরকার

    2
    1903
    গণআন্দোলনে ভয়ে আতংকিত হিন্দুত্ববাদী মাফিয়া আওয়ামী সরকার

    প্রায় ১ যুগের বেশি সময় ধরে জনগণের রক্ত চুষে খাওয়া মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষ। দেয়ালে পিঠ ঠেকে ত্যাক্ত বিরক্ত সাধারণ জনগণ ক্ষোভ করে যাচ্ছেন বিভিন্নভাবে। যে যার জায়গা থেকে লেখনি, মানববন্ধন, বিক্ষোভ করে জানান দিচ্ছেন তাদের অভিব্যক্তি।

    মোটরচালক, বাসচালক থেকে শুরুকরে বিভিন্ন পেশার মানুষেরা মাফিয়া সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে এসেছেন। প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জালিম সরকারের অন্যায় কাজ আর নিয়মের থোরাই কেয়ার করে ন্যায়ের পক্ষে থাকার শপথ নিয়েছেন।

    তারই অংশ হিসেবে গণ আন্দোলনের মুখে বাধ্য হয়ে ‘লকডাউন’ শিথিল করতে বাধ্য হয়েছে মাফিয়া আওয়ামী সরকার। সাধারণ জনগণের ন্যায্য আন্দোলনের মুখে গণপরিবহন চলাচলে শৈথিল্য আনতে বাধ্য হয় তারা।

    এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাকে সবাই এখন শহীদবাড়িয়া বলতে পছন্দ করেন সেখানে প্রচন্ড রকমের প্রতিবাদের সম্মুখীন হওয়ায় মাফিয়া সরকার অনেকটাই ঘাবড়ে যায়। ভয় চেপে বসে তাদের ঘাড়ে। তাই আন্দোলনের এই শিখা থামিয়ে দিতে তড়িঘড়ি করে কৃএিম করোনা সংকটের দোহাই দিয়ে কথিত লকডাউন দেয়। সাধারণ জনগণের বিপুল পরিমাণ লোকসানের কথা চিন্তা না করে অন্যায়ভাবে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে দেয়া হয় এ লকডাউন। কিন্তু জনগণ তা মানেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে শিথিল করতে হয় এ কথিত লকডাউন। কিন্তু আবারও নতুন নাটকের অবতারণা করতে যাচ্ছে এই মাফিয়া জালিম সরকার। ১৪ তারিখের পর দিতে পারে কঠোর লকডাউন এমন কথাই বলছে তারা। তবে জনগণ যে আবারও কথিত এই লকডাউন উপেক্ষা করবে তা সহজেই অনুমেয়। মাফিয়া সরকারের কাগুজে হুংকার মানবে কেনো তারা?

    অন্যদিকে দেশের সব কওমি, আবাসিক-অনাবাসিক মাদরাসা বন্ধ রাখতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মাফিয়া সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বর্তমানে দেশে লকডাউন বলবৎ রয়েছে। ইতিপূর্বে সরকার দেশের সব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এখানেও আন্দোলনের অগ্নিশিখা দমাতেই যে এ পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।

    এই মাফিয়া সরকার যে কতোটা আতংকগ্রস্থ তা বোঝা যায় দেশের কিছু পুলিশ ফাঁড়িতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়ার ভিতর দিয়েই। জনগণের বুকে গুলি চালাতে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা অবশ্যই মাফিয়া সরকারের বিদ্যমান নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটির বহিঃপ্রকাশ। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কতোটা ভঙ্গুর আর ত্রুটিযুক্ত তা এখান থেকে বোধগম্য। সাধারণ জনগণের লাঠি আর বাঁশের বিপরীতে এমন ব্যবস্থা হাসির খোরাকিই বটে।

    অন্যদিকে হক্কের পক্ষে আওয়াজ তোলা বিভিন্ন ঘরানার আলিমদের উপর চলছে গুম, জেল জুলুমের পুরনো নিয়ম। কোনকিছু প্রমাণ করতে না পেরে ক্রুসেডার মিডিয়ার সহায়তায় আলিমদের চরিত্রে কালিমা লেপনের জঘন্য পন্থা অবলম্বন করেছে এই মাফিয়া সরকার। কিন্তু জনগণ তা গ্রহণ করেনি। স্বাভাবিকভাবেই পাশে থেকেছে সত্যের পক্ষে। এর থেকে বাদ যায়নি মাফিয়া সরকারের নিজেদের অনেক লোকও। ছাত্রলীগ, যুবলীগের অনেকেই সামিল হয়েছেন ন্যায়ের পক্ষে। এভাবেই একঘরে হয়ে পড়েছে এই মাফিয়া সরকার। তাই প্রশ্ন উঠেছে এভাবে চলতে থাকলে কতোদিন টিকতে পারবে তারা?

    2 মন্তব্যসমূহ

    1. জি ভাই আল্লাহ সাহায্য অতি নিকটেই।

      জালিমের পতন অতি সন্নিকটে।

      ধ্বংস তো জালিমের জন্য দুনিয়া এবং আখিরাতে চিরদিনের জন্য।

      আমরা হতাশ নয়, আমরা নতুন করে জালিমের আরেকবার পতনের অপেক্ষায়। যা ইতিহাস রচনা করবে।

    মন্তব্য করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধসিরিয়া | আসাদ সরকারের নিক্ষিপ্ত বিস্ফোরক যখন জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম
    পরবর্তী নিবন্ধ৯ ফিলিস্তিনি তরুণকে আটক করেছে ইসরায়েল