ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের তালেবান মুজাহিদিনগণ ক্রুসেডার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের দোহা চুক্তির বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নতুন একটি বিবৃতি জারি করেছেন। বাইডেন বলছে “তারা সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান থেকে সরে যাবে”।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন তার বক্তব্যে বলেছিল যে, তারা মে মাসে পুনরায় আফগানিস্তান থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে এবং ১১ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করবে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত হবে।
কিন্তু তালেবান বলছে- আমেরিকার এমন সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে দোহা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তালেবানের কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ্ কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে তালেবানরা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক মাসের জন্য সেনা প্রত্যাহারের বিলম্ব সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নতুন একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন:
বাইডেন কর্তৃক সেনা প্রত্যাহার বিলম্বিত করার এই সিদ্ধান্ত দোহা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা চুক্তির প্রতিশ্রুতিগুলির সুস্পষ্ট সম্মতি বিরোধী।
– যেহেতু এই চুক্তিটি জাতিসংঘের উপস্থিতিতে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, অতএব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন সকলের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরিত সেই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তাই চুক্তি স্বাক্ষরের সাক্ষী সমস্ত দেশ ও সংস্থাকে অবশ্যই আমেরিকার উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে এবং নির্ধারিত তারিখে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে আমেরিকার উপর তাদেরকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
– চুক্তি সম্পাদন এবং প্রতিশ্রুতি দেয়া স্বত্তেও, দশ দিনের মধ্যে ৬ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে প্রথম পর্যায়ে ৬ মাস বিলম্বিত করা হয়েছিল, এমনকি আন্ত:আফগান আলোচনা শুরু হওয়ার ৩ মাস পরেও বাকি সমস্ত বন্দিদের মুক্তি ও ব্ল্যাকলিস্ট থেকে মুজাহিদদের নাম বাতিল করা হয়নি। শুধু তাই নয়, ১২০০ এরও বেশি সামরিক অভিযানের মাধ্যমেও চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। এখন নতুন করে সামরিক ইউনিটগুলি প্রত্যাহার কয়েক মাসের জন্য বিলম্বিত করে ফের চুক্তি লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
তাদের এই সমস্ত চুক্তি বিরোধী কার্যক্রম বিশ্বকে এই বার্তাই দিচ্ছে যে, আমেরিকা বিশ্বাসযোগ্য নয় এবং তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে অক্ষম, তাই তাদের উপর কোন প্রকার বিশ্বাস রাখা অসম্ভব।
আমরা চুক্তি মেনে চলছি বলে তালেবান জানায়-
– চুক্তির সাথে জড়িত সব পক্ষকে লক্ষ্য করে তালেবান জোর দিয়ে বলেছিল যে, ইমারতে ইসলামিয়া তাদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত চুক্তি ভঙ্গ করেনি বরং আমেরিকাই বারংবার চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। সুতরাং আমেরিকা যদি এখনো চুক্তির হেরফের করে, তাহলে তা মুজাহিদীনদের জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নেবার রাস্তা খুলে দিবে, আর প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য আমেরিকাই দায়ী থাকবে।
ইমারতে ইসলামিয়ার পক্ষ থেকে আফগানের মাটিতে অবস্থানরত প্রত্যেক বিদেশী শক্তির প্রতি স্পষ্টভাবে বার্তা হচ্ছে: আর কোনো দোহাই দিয়ে আফগানিস্তানে থাকাকে বিলম্বিত করা যাবে না।
ইমারতে ইসলাম আফগানিস্তান কোনো ভাবেই পূর্ণ স্বাধীনতা এবং পরিপূর্ণ শরীয়াহ ক্বায়েম করার প্রতি বিন্দুমাত্র আপোস এবং শৈথিল্যতা প্রদর্শন করবে না। একই সাথে ইমারতে ইসলামিয়া যথাসম্ভব শান্তিপূর্ণভাবে আফগান সমস্যা সমাধানে গুরুত্ব আরোপ করবে এবং আফগানে দখলদারিত্ব পূর্ণরূপে বিলোপ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে।
বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার অভিযোগ এনেছিল তালেবান। তারা প্রতিবারই তাদের বক্তব্যে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে আসছে যে, তারা একটি স্বাধীন ও ইসলামী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কোন প্রকার আপোস করবে না।
দোহার চুক্তি এবং দখলদার বাহিনীর প্রত্যাহার প্রক্রিয়া
২০২০ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তালেবানদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র তার সেনা প্রত্যাহার শুরু করে। ২০২০ সালের জুনের মাঝামাঝি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তার সেনার সংখ্যা কমিয়ে ৮০০০-এ নামিয়েছে।
এরপর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হেলমান্দ, উরুজগান, পাকতিয়া এবং লাগমান প্রদেশগুলিতে মোট পাঁচটি বৃহৎ সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দিয়েছে।
অতঃপর ১৫ ই জানুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সেনা সংখ্যা কমিয়ে আড়াই হাজারে নামিয়েছে। মে মাসের মধ্যে সকল বিদেশী সেনা আফগান ত্যাগ করার চুক্তি থাকলেও নতুন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর তা আবারো থেমে যায়। সর্বশেষ বাইডেন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়াটিকে বিলম্বিত করে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী করতে চাচ্ছে।
এদিকে তালেবান বলছে- দোহায় স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে আমাদের যে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার থাকবে। আর প্রতিটি পদক্ষেপের জন্যই আমেরিকা দায়ী থাকবে।
আর কত বিলম্ব করবে? এবার তালেবানই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ।
আর এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী থাকবে আমেরিকা ।
হে আল্লাহ! তুমি সারাবিশ্বের মুজাহিদীন ভাইদের সুস্হতা এবং নিরাপত্তা দান করো ।
এবং আল-ফিরদাউস মিডিয়ার সকল ভাইদেরকে সুস্হতা এবং নিরাপত্তা দান করো এবং ভাইদেরকে তোমার দ্বীনের জন্য কবুল কর ।
আমিন….ছুম্মা আমিন……
অসম্ভব, ,,,
নো বিলম্ব! নো বিলম্ব!! নো বিলম্ব!!!
কক্ষনো নয়৷ এই কুফ্ফার আমেরিকাকে আর বিলম্ব করতে দেওয়া যাবে না৷
ইম্প- সিবল৷!!!
তারা আমাদের মুজাহিদ বন্দি ভাইদের ছাড়তে বিলম্ব করেছে৷ 1200 র অধিক বার যামরিক হামলা চালিয়ে চুক্তি লঙ্গন করেছে৷ আরো বিভিন্ন কোটনৈতিক চাল খেলেছে৷ যা সুস্পষ্ট চুক্তির লংগন ৷ আর ছাড় দেওয়া যাবে না তাদের৷
আমাদের ভাইদের উচিত, এবারো যদি লঙ্গন করে তবে,,,,,,,,,,,,,,,
যদি নির্দিষ্ট সময়ে সেনা প্রত্যাহার না করে, তাহলে তালেবানের উচিৎ শালাদের উপর আক্রমন করা। শালাদেরকে দীর্ঘ যুদ্ধে আঁটকে রাখা।
যদি আক্রমন না করে,তাহলে শালারা আরো সাহস পেয়ে যাবে।
কুত্তা মার্কিনী! 🙃🙃🙃
আহরে আমেরিকা! এখনো সোজা হইলি না!
আপোসহীন এক জাতির নাম আফগান
দৃঢ় সংগ্রামী এক শক্তির নাম তালেবান
অতএব, মার্কিনীদের এসব টাল-বাহানা কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না।
আল্লাহর উপর ভরসা করে মাইরা দেন আমেরিকা কে। ১ টা সোলজার নিয়েও যেন আফগান থেকে বের হতে না পারে।