দখলদার ও অভিশপ্ত ইসরাইল ফিলিস্তিনি মুসলিমদের দোকান মালিকদেরকে নিজ হাতেই নিজরদের দোকান জোড়পূর্বক ভাঙ্গিয়ে নিচ্ছে।
এর ধারাবাহিতায় গত ২৬ জুন শনিবার, দখলদার ইসরাইলি প্রশাসন রাজধানী জেরুজালেমের ওয়াদি আল হিলওয়া এলাকায় এক মুসলিমের দোকান মালিককে দিয়ে জোড়পূর্বক ভাঙ্গিয়ে নিয়েছে।
ওয়াদি আল হিলওয়েহ তথ্য কেন্দ্র জানায় সিলওয়ানের পার্শ্ববর্তী ওয়াদি আল হিলওয়া এলাকায় আলি সিয়াম নামে এক ফিলিস্তিনি যুবককে দিয়ে সন্ত্রাসী ইসরাইল স্ব-উদ্যোগ নিজ দোকান ভাঙ্গিয়ে নিয়েছে।
এর আগে ইসরাইলি পৌরসভা দোকান মালিক আলি সিয়ামকে নিজ উদ্যোগে তার দোকান না ভাঙ্গলে সন্ত্রাসী ইসরাইলি প্রশাসনকে দোকান ধ্বংস করা বাবদ ২০ হাজার শেকেল (প্রায় ৬ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা প্রদানের শর্ত জুড়ে দেয়।
অবরুদ্ধ জেরুজালেমে মুসলিম বসতি হ্রাস করতে অবৈধ স্থাপনার অজুহাতে অভিশপ্ত ইহুদিরা ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বসতিগুলো নিয়মিতভাবেই ধ্বংস করছে।
মুসলিমদের হটিয়ে ইহুদিবাদি ইসরাইলি পৌরসভা ও প্রশাসন অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদিদের আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একই সময়ে দশ হাজার ইহুদি বসতি নির্মাণ করেছে।
উল্লেখ্য প্রাচীন নগরী জেরুজালেমের সিলওয়ানে পবিত্র স্থানের আশেপাশে প্রায় ৩৩ হাজার ফিলিস্তিনি মুসলিমদের বসতি রয়েছে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার উপেক্ষা করে দখলদার ইসরাইল ১৯৮০ সাল থেকে পবিত্র জেরুজালেম নগরী থেকে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের জোড়পূর্বক উচ্ছেদ করে ঘরবাড়ি ও ভূসম্পত্তি দখলে ব্যতিব্যস্ত।
শতশত মুসলিম পরিবার ইসরাইলি সরকারের মদদপুষ্ট দখলদার গোষ্ঠীগুলো কর্তৃক নিজ ঘরবাড়ি ধ্বংস ও জোড়পূর্বক উচ্ছেদের হুমকিতে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ পূর্ব জেরুজালেমে ২৫৬টি অবৈধ বসতি ও বিক্ষিপ্ত কলনিতে প্রায় ৭ লক্ষ ইহুদি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যায়ভাবে বসবাস করছে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ফিলিস্তিনে এসব ইসরাইলি বসতির কোনটিই বৈধ নয়।
ফিলিস্তিনের রাজধানী জেরুজালেমের সিলওয়ানে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের করা যৌক্তিক আপিলগুলো দখলদার ইসরাইলি আদালত পূর্বেই বাতিল করে তাৎক্ষণিকভাবে মুসলিম পরিবারগুলোকে নিজ বসতভিটা থেকে বহিষ্কারের পক্ষে রায় দিয়েছে।