জাজিরাতুল আরবের ভূমি ও ক্ষুদ্র আরব উপদ্বীপ বাহরাইন দখলদার ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর প্রথমবারের মতো ইসরাইলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
জানা যায়, বাহরাইন গত ২৯ জুন মঙ্গলবার মিডিয়ায় প্রকাশ্য ঘোষণা করে দখলদার ইসরাইলে নিজেদের প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
গত বছর সন্ত্রাসী ইসরাইলের সাথে করা সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের অংশ হিসেবে বাহরাইন অবৈধ রাষ্ট্রটিতে এ রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
বাহরাইনের রাষ্ট্রয়ত্ব সংবাদ মাধ্যম জানায়, ইউসিফ আল জালাহামা হচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইলে বাহরাইনের নিযুক্ত প্রথম রাষ্ট্রীয় দূত।
উল্লেখ্য, এই ইউসিফ পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাইরাইনের সহকারী রাষ্ট্রদূত হিসাবে কর্মরত ছিল। তাছাড়াও সে বাহরাইনের কূটনৈতিক বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
গত মার্চ মাসে বাহরাইন ও অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের মধ্যকার প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি আশকেনাজি তখন নিয়োগ সংক্রান্ত এ ঘোষণাটির অনুমোদন দিয়েছিল।
ঐ সময় দখলদার ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লাতিফ বিন রাশিদ আল জায়ানিকে বলে,”বাহরাইন সরকার কর্তৃক ইসরাইলে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের গৃহীত সিদ্ধান্ত উভয় দেশের মধ্যকার শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও সম্পর্ক দৃঢ়কল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”
তাছাড়াও বাহরাইনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল লাতিফের সাথে আলাপকালে ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি বাহরাইন প্রশাসনের গৃহীত সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে, ইসরাইল-বাহরাইন দ্বিপাক্ষিক শক্তিশালী বন্ধুত্ব স্থাপনে বাহরাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এ সময় ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাবি বাহরাইন রাজার দৃঢ় নেতৃত্বেরও প্রসংশা করে।
উল্লেখ্য, দখলদার ইসরাইলি মিডিয়ার মতে, বাহরাইন কর্তৃক ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে অফিশিয়ালি রাষ্ট্রদূত নিয়োগের পূর্বেও রাজধানী মানামায় ইসরাইলের গোপন কূটনৈতিক অফিস ছিল যা এতোদিন ইসরাইলি দূতাবাস হিসাবে বাহরাইনে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
গত বছর আমিরাতের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকরণের পর, প্রথম অফিশিয়াল ভ্রমণে সন্ত্রাসী ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ায়ির লাপিদ যেদিন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরাইলি দূতাবাসের উদ্ভোধন করে, সেদিনই দখলদার ইসরাইলে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘোষণা আসে।
ইবনে উবাই, ইবনে সাবা সব যুগেই থাকে..
এইসব মুরতাদ শাসকদের এরতেদাদ কবে যে বুঝবে জনগণ!! হে আল্লাহ! স্পষ্ট করে দিন।
যুগে যুগে মীরজাফররা ইসলামের অনেক ক্ষতি করেছে এমনকি ইসলামের যত ক্ষতি সাধন পৃথিবীতে এই পর্যন্ত হয়েছে তার অধিকাংশই মুসলিমদের থেকেই হয়েছে কাফের কর্তৃক নির্যাতন মুসলিমদের উপর খুব কমই হয়েছে বরং মুসলিমদের সহায়তায় কাফেররা মুসলিমদের শেষ করার চেষ্টা করেছে তবুও কি নির্বোধ মুসলিম জাতি তবুও এই তাগুত শাসকগোষ্ঠীর আনুগত্য তাড়া করছে আল্লাহ আমাদেরকে তাগুত শাসকগোষ্ঠীর অনুসরণ করা থেকে হেফাজত করুন আমিন