সিরিয়ার হামা এবং সাহলুল-ঘাব অঞ্চলে শিয়া নুসাইরি ও ক্রুসেডার রাশিয়ান বাহিনীর উপর একাধিক হামলা চালিয়েছেন আল-কায়েদা সমর্থক ২টি জিহাদী গ্রুপ।
এরমধ্যে আনসার আত তাওহীদের অফিসিয়াল সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ার হামা প্রদেশের “শাতহা” অঞ্চলে কুখ্যাত নুসাইরি “শাবিহা” সন্ত্রাসীদের উপর “GRAD” মিসাইল দিয়ে সফল হামলা চালিয়েছেন আনসার আত তাওহীদের মুজাহিদীনরা।
উল্লেখ্য, শাবিহা বাহিনী হলো বাশার আল আসাদের মদদপুষ্ট মাদক চোরাচালানকারী ও সন্ত্রাসী বাহিনী, যারা নিয়মিতভাবে সাধারণ মানুষের উপর চড়াও হয়। আনসার আত তাওহীদের মিডিয়া উইং জানিয়েছে, বিগত দুদিন যাবত ইদলিব ও আশেপাশের এলাকায় রাশিয়ান ও নুসাইরি বাহিনীর গোলাবর্ষণ ও মিসাইল হামলায় অনেক সাধারণ মানুষের শাহাদাতের বদলাস্বরূপ এই হামলা চালানো হয়েছে।
অপরদিকে, আনসার আল ইসলামের মিডিয়া বিভাগ “আল-আনসার মিডিয়া” রিপোর্ট করেছে যে, সিরিয়ার সাহলুল-গাব প্রদেশে মুজাহিদিনরা দুটি সফল হামলা চালিয়েছেন।
এরমধ্যে মুজাহিদগণ প্রথম হামলাটি চালান “জুরাইন” অঞ্চলে। যেখানে মুসলিমদের লক্ষ্য করে রাশিয়ান ক্রুসেডারদদের নিক্ষিপ্ত আর্টিলারিগুলো মুজাহিদগণ তাদের নির্মিত আরপিজি রকেট দিয়ে অকেজো করে দেন।
অপরদিকে আল-বারাকা অঞ্চলে নুসাইরি আসাদ বাহিনীর ক্যাম্পে রকেট শেল দিয়ে হামলা চালান মুজাহিদগণ। এতে নুসাইরীদের রসদপত্র ও তাঁবুতে আগুন ধরে যায় এবং নষ্ট হয়ে যায়।
-وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ
আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরাও আল্লাহ্র পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর ; কিন্তু সীমালংঘন করো না । নিশ্চয় আল্লাহ্ সীমালংঘনকারীদেরকে ভালবাসেন না।
-Surah Al-Baqarah, Ayah 190
✪وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফেত্না চুড়ান্ত ভাবে দূরীভূত না হয় এবং দীন একমাত্র আল্লাহ্র জন্য হয়ে যায়।
-Surah Al-Baqarah, Ayah 193
وَقَٰتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يُقَٰتِلُونَكُمۡ وَلَا تَعۡتَدُوٓاْۚ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يُحِبُّ ٱلۡمُعۡتَدِينَ
আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তোমরাও আল্লাহ্র পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর ; কিন্তু সীমালংঘন করো না । নিশ্চয় আল্লাহ্ সীমালংঘনকারীদেরকে ভালবাসেন না।
আয়াতটি মানসূখ। (জালালাইন সহ তাফসীরের কিতাব সমূহ)। কারণ, আয়াতে বলা হয়েছে: ১) যোদ্ধা বা মুহারিবের সাথে যুদ্ধ কর। ২) সীমালঙ্ঘন কর না। অর্থাৎ অযোদ্ধাদের উপর আক্রমণ তথা ইকদাম কর না। এই হুকুম ইসলামের শুরুতে ছিল। বর্তমানে ইকদাম বিরোধীরা এই আয়াত দিয়ে দলীল দেয়। সূরা তাওবার ইকদামের আয়াত দ্বারা এই আয়াত রহিত হয়ে গিয়েছে। এখন শর্তসাপেক্ষে ইকদাম (অফেন্স) কখনো জায়েয, কখনো ফারয।
আবার কারো নিকট
وَقَٰتِلُوهُمۡ حَتَّىٰ لَا تَكُونَ فِتۡنَةٞ وَيَكُونَ ٱلدِّينُ لِلَّهِۖ
আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফেত্না চুড়ান্ত ভাবে দূরীভূত না হয় এবং দীন একমাত্র আল্লাহ্র জন্য হয়ে যায়।
এই আয়াত টি পূর্বের আয়াতকে রহিতকারী।