গোপালগঞ্জে কোটালীপাড়া দিঘলিয়া গ্রামের ফাঁড়াকাটা এলাকায় ঈদের দিন ঈদের নামাজরত অবস্থায় মসজিদে ভাংচুর ও মুসলমানদের উপরে এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়েরা অতর্কিত হামলা করেছে। এতে অসংখ্য মুসল্লী আহত হয়, আহতদের চিত্র হাসপাতালে গিয়ে ধারণ করা হয় এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
শুধু এক এলাকার হিন্দুরা নয় বরং একাধিক গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের উগ্রবাদীরা এক হয়ে নামাজের জামাতে হামলা চালিয়েছে।
এলাকার প্রতক্ষদর্শী একজন জানান ওখানের পরিবেশ ছিল খুব ভয়াবহ প্রায় ১০০০ হিন্দু লোক ছিল আর আমরা ছিলাম সামান্য কয়েক জন। ইটের খোয়া এমন ভাবে ফেলছিল, মনে হয়ছিল বোমা বর্ষন শুরু হইছে। তাই সামনে যাওয়ার মত পরিবেশ ছিল না। হিন্দু মহিলারা ফলের ট্রে ভরে ইটের টুকরা আনত আর পুরুষরা সেগুলো মারত। সেই সুযোগে রামদা দিয়ে বাড়ি ঘরে হামলা করে।
কয়েক মাস আগে সে এলাকার উপজেলা চেয়ারম্যান শ্রী বিমল কৃষ্ণ একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে বিশ্বনবী (সঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করে।
সেটার কোন বিচার হয়নি।
সেই চেয়ারম্যান বিমল চন্দ্র বিশ্বাস এ হিন্দুত্ববাদী হামলার পেছনে অন্যতম ইন্ধনদাতা। ভয়ঙ্কর মুসলিম বিদ্বেষী বিমল বিশ্বাসের ভয়ঙ্কর সব সাম্প্রদায়িক কথাবার্তার ভিডিও ফেসবুকে সার্চ করলেই পাওয়া যায়।
তবে চিন্তার বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে এত বড় একটা হিন্দুত্ববাদী হামলার ঘটনা ঘটে গেলেও মিডিয়া তাকে ‘ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষ’ বলে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছে। কিন্তু কোরবানীর ঈদের দিন মসজিদের মধ্যে কারা ফুটবল খেলতে গিয়েছিলো সেই তথ্য প্রকাশ করেনি।
হলুদ মিডিয়া যদিও এ হামলাকে ফুটবল খেলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছে বলে চালিয়ে দিয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন আসে মসজিদে হামলা কেন? আর দুঃখজনক কোন মিডিয়ায় মসজিদের এই হামলার চিত্র প্রকাশ করেনি। আরো প্রশ্ন রয়ে যায়- ফুটবল খেলা হলে তো মাঠে হবে আর গণ্ডগোলটা ও মাঠে হওয়ার কথা, কিন্তু মসজিদের ভিতরে ইটপাটকেল এবং মসজিদ ভাঙচুর কেন?
তথ্যসূত্র: দৈনিক কোটালীপাড়া(DK) – https://www.facebook.com/groups/620478108291271
আহ!
এর বিচার কি আমরা পাব? না।
আমাদেরকেই করতে হবে আমাদের বিচার।
মুরতাদ হাসিনার কাছে বিচার চাওয়া জালিমের কাছে জুলুমের বিচার চাওয়ার নামান্তর।