নাস্তিক্যবাদী সন্ত্রাসী চীনে একদিকে ভয়াবহ বন্যা। এর মধ্যেই ভয়াবহ টাইফুনের আঘাত। টাইফুনের পর এবার আঘাত হেনেছে ভয়ংকর ধূলিঝড়। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি শহরে রোববারের (২৫ জুলাই) ঝড়ে প্রায় ১শ মিটার উঁচু পর্যন্ত ওঠে ধুলার মোটা আস্তরণ।
এই ধূলিঝড় ধেয়ে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণের দিকে। কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্ধকার হয়ে যায় পুরো এলাকা। অন্তত ৫ মিটার এলাকার মধ্যে কিছুই দেখা যায় নি। রাস্তায় থমকে যায় যানবাহন। বড় বড় রাস্তাগুলোয় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে ট্রাফিক বিভাগ। আটকে পড়া গাড়িগুলো সরে যেতে লাগে দীর্ঘ সময়।
স্থানীয়দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ধুলিঝড়ের ভয়াবহতার চিত্র। ঝড়ের পর রাস্তা, বাড়িঘরের ওপর ধূলার পুরু স্তর জমে থাকতে দেখা যায়। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় বারের মতো ধুলিঝড়ের কবলে পড়লো শহরগুলো।
ধূলিঝড়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৮১ জন। বিষয়টি মঙ্গোলিয়া ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি এজেন্সি নিশ্চিত করেছে। চীনের জাতীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ধূলোর চাদরে দেশটির উত্তর অঞ্চলের ১২টি প্রদেশ প্রায় ঢেকে যায়।
এদিকে, ধুলিঝড়ের পূর্বে একইদিনে ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার বেগে ঝেজিয়াং প্রদেশে শুরু হয় টাইফুন ইন-ফা।
টাইফুনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাংহাই শহর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় স্থগিত রাখা হয় জাহাজ চলাচলসহ বন্দরের সকল কার্যক্রম। দুটি বিমানবন্দরে বাতিল করা হয় কয়েকশ ফ্লাইট। বন্ধ রাখা হয় রেল সার্ভিসও। বন্দর নগরীটিতে উপড়ে পড়েছে ১০ হাজারের বেশি গাছ। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে শহরের বেশিরভাগ এলাকা।