ইসলাম ও মুজাহিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত মুরতাদ সোমালি সরকারকে ৩০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সেকুলার তুরস্ক। গেল জুলাই মাসে দেশ দুটির মধ্যে সম্পাদিত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি মোতাবেক এই অনুদান দেয়া হবে। পুরো ৩০ মিলিয়ন ডলারকে বিভক্ত করে প্রতি মাসে আড়াই মিলিয়ন ডলার করে অনুদান দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
আগস্ট মাসের ৫ তারিখ তুরস্কের মুনাফিক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান এর সাক্ষরিত অফিসিয়াল গ্যাজেটে অনুদানের বিষয়টি সবার সামনে প্রকাশিত হয়। এই অর্থ মুরতাদ সোমালি সরকারের বাজেটের ঘাটতি পূরণ এবং নির্মাণকাজ ও সামরিক খাতে ব্যয় করা হবে। এর আগেও ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে তুরস্ক সোমালি সরকারকে মোট ৮৪ মিলিয়ন ডলারের অনুদান প্রদান করেছে।
এরদোয়ানের এই সিদ্ধান্ত খোদ তুর্কি জনসাধারণকেই বিচলিত করেছে। তাদের দাবি, দাবানলের সময় আগুন নিভাতেই তুরস্ককে হিমশিম খেতে হয়েছে। তুরস্কের এয়ারোনটিকাল এসোসিয়েশনের প্লেনগুলোকে অর্থাভাবে দাবানলের আগুন নিভাতে কাজে লাগানো যায়নি। দাবানলে হওয়া ক্ষতি পূরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করে সোমালিয়াকে অনুদান দেয়ায় তারা নারাজ। বিরোধীদলীয় এক এমপির টুইটে সে উল্লেখ করেছে, “অনুদানের ৩০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে ৬টি অগ্নিনির্বাপক বিমান কেনা যেত”
রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দেয়া এই অনুদানের অর্থ সোমালিয়ার মার্কিনি ক্রুসেডারদের পদলেহি সরকার কাজে লাগাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে, ইসলামি হুকুমত এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে। ক্রুসেডার আমেরিকার ড্রোন হামলা ও কুফফার জোট জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ সাহায্য নিয়েও আশ-শাবাবের মুজাহিদীনদের কাছে ক্রমাগত শোচনীয়ভাবে পরাজিত হচ্ছে মুরতাদ এই বাহিনী। আর এই পরাজিত মুরতাদ বাহিনীকেই প্রতিবছর মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ, সামরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে মুজাহিদদের বিরুদ্ধে সহায়তা করে যাচ্ছে তুরষ্ক।