ভারত জবরদখলকৃত জম্মু-কাশ্মিরের জামায়াতে ইসলামির (জেইএ) সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ৬০টি স্থানে অভিযান চালিয়েছে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। রোববার জম্মু-কাশ্মিরে সংগঠনটির বিভিন্ন নেতার বাসভবন ও কার্যালয়ে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
ভারত-শাসিত কাশ্মিরে স্বাধীনতাকামীদের সমর্থনের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামির বিরুদ্ধে এ অভিযান।
ভারতের প্রধান গেরিলা দমনকারী সংস্থা এনআইএ এক বিবৃতিতে বলেছে, সংগঠনটির সদস্যরা দাতব্য ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য অনুদানের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সংগৃহীত তহবিল তাদের ভাষায় সহিংসতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করেছে সংগঠনটি।
এনআইএ বলেছে, সংগৃহীত তহবিল নিষিদ্ধ সংগঠন যেমন— হিজব-উল-মুজাহিদীন, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং অন্যান্যদের কাছে জেইআইয়ের ক্যাডারদের সুসংগঠিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
জামায়াতে ইসলামি পরিচালিত বেশ কিছু ট্রাস্ট এবং নেতাকর্মীর বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। দেশটির কেন্দ্রীয় এই তদন্ত সংস্থা বলেছে, কাশ্মিরের যুবকদের উসকানি এবং জম্মু ও কাশ্মিরে নতুন সদস্য নিয়োগ করেছিল জেআই; যাতে তারা আজাদী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে।
দুই বছরের বেশি সময় আগে কাশ্মিরে এক হামলায় ৪০ ভারতীয় সৈন্যের প্রাণহানির পর দেশটির সরকার জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীর একটি বাসে আত্মঘাতী এক বোমা হামলাকারী গাড়ি চালিয়ে দিলে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
তবে রোববারের অভিযানের ব্যাপারে জামায়াতে ইসলামির মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
ইনশাআল্লাহ বিজয় নিকটে