পাকিস্তান পক্ষের অদক্ষতা, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্ধেষের কারণে তালিবানরা কয়েকদিন আগে স্পিন বোল্দাক-চামন সীমান্ত ক্রসিং রোড বন্ধ করে দিয়েছিল। সেসময় সড়কটি পুনরায় খোলার জন্য পাকিস্তান পক্ষের উপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেন তালিবানরা। অতঃপর কয়েকদিনের কঠোর অবরোধের পর, পাকিস্তান তালিবানদের দেওয়া শর্তাবলী মেনে নতিস্বীকার করে।
গত ৬ জুলাই পাক-আফগান স্পিন বোল্দাক-চামন সীমান্তের বাব-দোস্তি ক্রসিং রোডের বিপরিত দিকে একজন আফগান মহিলাকে অপদস্থ করে চড় মারে এক পাকিস্তানী সীমান্তরক্ষী। একজন মহিলার উপর পাকিস্তানী সেনাদের এমন আচরণ সহ্য করতে না পেরে ঐ সেনা সদস্যকে গুলি করে আফগান বর্ডারে থাকা একজন তালিবান মুজাহিদ। এই ঘটনার পর তালিবান উক্ত সীমান্ত ক্রসিং রোডটি বন্ধ করে দেয়।
এরপর তালিবানরা এক বার্তায় জানান যে, সীমান্তে মানুষকে অপদস্থ করা বন্ধ না হলে এবং আফগানদের জন্য ভিসা-ফ্রি ভ্রমণ বা ভিসায় প্রয়োজনীয় শর্ত শিথিল করা না হলে বাব-দোস্তি ক্রসিং রোড বন্ধ থাকবে। সেই সাথে আফগান জনগণকে শুধু মুহাজিরিন কার্ডের ভিত্তিতে সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি দিতে হবে এবং সীমান্ত খোলা রাখার সময়সীমা বাড়াতে হবে।
গত ৬ আগস্ট তালিবান মুজাহিদদের পক্ষহতে এই শর্ত যুক্ত করার পর থেকে স্পিন বোল্দাক-চামন সীমান্ত বন্ধ থাকে।
অবশেষে পাকিস্তানের ডিপুটি কমিশনার জুমা দাদ আজ (১০ আগস্ট) দৃশ্যত তালিবান মুজাহিদদের শর্তগুলো মেনে নিতে বাধ্য হয়। তালিবানদের শর্ত অনুযায়ী যাদের মুহাজিরিন কার্ড আছে তাদেরকে সীমান্ত অতিক্রম করার অনুমতি দিচ্ছে পাকিস্তান। এছাড়াও বর্তমানে এই সীমান্তটি সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। যেখানে আগে এই সীমান্তটি সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকতো।
এদিকে স্পিন বোল্দাক-চামন সীমান্তে দায়িত্বরত তালিবান কমিশনার এখনও রাস্তাটি খোলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে বলেছেন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং চূড়ান্ত ঘোষণা করা হবে।
alhamdulillah
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর!!!
আলহামদুলিল্লাহ
এভাবেই এই জাতিয়তাবাদি সীমানা চূর্ণ বিচূর্ণ হবে ইনশাআল্লাহ।। পুরো মুসলিম উম্মাহ আবার হারানো ঐক্য ফিরে পাবে….