তালিবানদের বিনা যুদ্ধে একের পর এক প্রদেশ বিজয় আমাদেরকে কীসের বার্তা দেয়?

    5
    1966
    তালিবানদের বিনা যুদ্ধে একের পর এক প্রদেশ বিজয় আমাদেরকে কীসের বার্তা দেয়?

    ইমারাতে ইসলামিয়া কর্তৃক আফগানিস্তানের অন্তত বিশটি জেলা বিজিত হওয়ার পর, প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে বিজয়ের যে ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে, তা কাবুল সরকারের এই অবৈধ শাসনের পরিসমাপ্তি এবং সমগ্র দেশজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার একটি শুভক্ষণ বলে ধারণা করছেন জ্ঞানী মহল।
    আল্লাহ তা’আলার অপার সাহায্য এবং সদ্য বিজিত প্রদেশগুলোর অধিবাসীদের নিরবিচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলে কোনো প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই মুজাহিদগণ নিমরোজ,জাউজান,সার-ই-পুল,তাখার,কুন্দুয এবং সামঙ্গান ইত্যাদি প্রদেশের রাজধানী বিজয় করে নিয়েছেন এবং অত্যন্ত সফলতার সাথে সেসব প্রদেশে জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন।

    এ সকল প্রাদেশিক রাজধানীগুলো কোনো প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড়াই বিজয় করে নেওয়ার মাধ্যমে যে বিষয়টি স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হচ্ছে সেটি হলো, কাবুল সরকার জনসাধারণের সাহায্য-সহযোগিতা পরিপূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছে এবং কাবুলের সরকারি বাহিনী এই অবৈধ শাসনব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার সাহসও হারিয়ে ফেলেছে।

    কোনো প্রকার যুদ্ধ-বিগ্রহ ছাড়াই বিভিন্ন জেলা বিজয় করার যে অভিজ্ঞতা ইমারাতে ইসলামিয়া অর্জন করেছে, সেই অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করেই তারা প্রাদেশিক রাজধানীগুলোও বিজয় করতে আগ্রহী। এটি একটি সফল পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে শহরের অধিকাংশ স্থাপনা ও ঘরবাড়ী ধ্বংসের হাত থেকে বেঁচে যাচ্ছে।

    কিন্তু, প্রাদেশিক রাজধানীর অধিবাসীরা নিরাপত্তার নিয়ামত দ্বারা সৌভাগ্যবান হোক, এবং শান্তি ও স্বস্তির সঙ্গে জীবন-যাপন করুক, তা কাবুল সরকারের যুদ্ধাগ্রহী বাহিনী চায় না।
    কাবুল বাহিনী যারনাজ এবং কুন্দুযের মত বড় বড় শহরগুলোতে বোম্বিং করেছে, যার ফলে সেখানকার অধিবাসীদের যেমন বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তেমনি বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। প্রাদেশিক রাজধানীগুলোতে বোম্বিং করা এক ধরণের গণহত্যার নামান্তর। এ জন্য দেশীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অপরিহার্য দায়িত্ব হবে, তারা যেন বিজিত প্রদেশগুলোতে কাবুল প্রশাসনের এই নৃশংস বোম্বিংয়ের প্রতিবাদ করে।এবং সেখানকার অধিবাসীদের এই গণহত্যার কবল থেকে উদ্ধার করে।


    ভাষান্তরঃ আব্দুল্লাহ মুনতাসির

    5 মন্তব্যসমূহ

    1. আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য যে সাহায্য আসে তা কোন খুব ফাল কোন পরাশক্তি নেই তা ঠেকানোর তা বাধা দেওয়া আল্লাহ তাআলাই মুমিনদের জন্যে যথেষ্ট, হাসবিয়াল্লাহু

    2. আল্লাহু আকবার কাবিরা!
      নিশ্চই আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় নিকটে যদি আমরা সুন্নাহ ফলো করি।
      তাই সকল গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান থাকবে যে আপনারা তালেবান মুজাহিদিন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুণ।
      আসুন হে প্রতিভাবান উম্মাহর নেতৃবৃন্দ!গণতন্ত্ররের নোংরা পথ ছেড়ে দ্বীনের সঠিক পথে।
      ইনশাআল্লাহ গাজওয়াতুল হিন্দ অতি নিকটবর্তী,কড়া নাড়ছে আপনার দুয়ারে।
      একটা কথা মনে রাখবেন যে,গাজওয়াতুল হিন্দ কোনো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হবে না।তা সশস্ত্র যুদ্ধই হবে ইনশাআল্লাহ।

    Leave a Reply to জাহিদ হায়দার প্রতিউত্তর বাতিল করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথমবারের মতো দখলদার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মরক্কো সফর
    পরবর্তী নিবন্ধসোমালিয়া | আশ-শাবাবের দূর্দান্ত হামলায় মার্কিন প্রশিক্ষিত ৩১ মুরতাদ সৈন্য হতাহত