চোরাই মোবাইল তল্লাশির নামে পুলিশের এক এসআই (উপ-পরিদর্শক) নারী ক্যান্সার রোগীর টাকা আত্মসাৎ করেছে।
জানা যায়, গত ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাজধানীর রূপনগরে টিনশেড ৬ নম্বর রোডের ৪৪/৫ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গত ২১ আগষ্ট শনিবার ওই এসআইয়ের বিরুদ্ধে ডিএমপি কমিশনার ও মহাপুলিশ পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন রাশিদা নামের ঐ ভুক্তভোগী নারী।
টাকা আত্মসাতকারী ওই এসআইয়ের নাম মাসুদুর রহমান। সে রূপনগর থানার পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক) হিসেবে কর্মরত। ঘটনার দিন শুধু টাকা নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি এসআই মাসুদুর রহমান। সে রাশিদাকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনেও (পাচানি) চালান দেয়।
অভিযোগে রাশিদা উল্লেখ করেন, মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে রূপনগর টিনশেড এলাকায় আমি দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। গত ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটায় পুলিশের সোর্স অপুসহ রূপনগর থানার এসআই মাসুদুর রহমান আমার বাসায় আসে। তারা অভিযোগ করে আমার বাসায় ৩০ -৩৫ টি চোরাই মোবাইল রয়েছে। এ কথা বলে তারা তল্লাশি শুরু করে বাসার সব আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। তল্লাশি শেষে তারা কোন কিছুই পায়নি। এক পর্যায়ে আমার জমানো আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে এসআই মাসুদ তার পকেটে ঢুকায়। এরপর সে আমাকে বলে এ টাকার কথা কাউকে ঘুণাক্ষরে বললে ৫০ পিস ইয়াবাসহ কোর্টে চালান দেয়া হবে। এরপর পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে যায়। আমি অনুনয় বিননয় করে তাকে বলি আমি ক্যান্সারের রোগী, আমাকে মাদক মামলায় চালান দেবেন না। এরপর টাকা ফেরৎ না দিয়ে আমাকে ১ দিনের জন্য পাচানি মামলা দেয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাশিদা বলেন, আমি ক্যান্সারের রোগী। প্রতি সপ্তাহে আমাকে থেরাপি দিতে হয়, আমি ছোটখাটো ব্যবসা করে সংসার চালাই। থানায় আমার নামে কোনো অভিযোগ কিংবা কোনো মাদক মামলা নাই। কোরবানীর গরু বিক্রির আড়াই লক্ষ টাকা বাসায় গচ্ছিত ছিল। ওই দিন এসআই মাসুদসহ পুলিশের সোর্স অপু তাও নিয়ে গেছে। এখন ২ দিন পর যে, থেরাপি দিবো সে টাকাও আমার কাছে নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি আমার টাকা ফেরৎ চাই।