দখলকৃত ফিলিস্তিনের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে অকারণে অভিযান, বাড়িঘর তল্লাশির নামে লুটপাট এবং মুসলিম শিশু-কিশোরদের গুলি করে হত্যাকে যেন নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে ইসরাইলি সন্ত্রাসীরা।
দখলদার সন্ত্রাসী বাহিনী গতকাল পশ্চিম তীরের বালাতা শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায় এবং ১৫ বছর বয়সী ইমাদ খালেদ সালেহ হাশাশকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতেও জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়। খবর – আলজাজিরা।
অপরদিকে গাজা উপত্যকায়ও বোমা হামলা চালিয়েছে যায়নবাদী ইহুদি সন্ত্রাসীরা। যদিও হামাসের অস্ত্র কারখানায় হামলার দাবি করেছে ইসরাইল, তবে এধরনের হামলায় নারী ও শিশুসহ নিরীহ মুসলিমরাই হতাহতের শিকার হয় বেশি।
এদিকে ইসরাইলের এইসব সন্ত্রাসী হামলা ও আগ্রাসনকে বৈধতা দিতে বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন প্রোপাগান্ডা শুরু করেছে যায়নবাদীদের দালাল মিডিয়াগুলো। ইদানিং প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, ইসরাইলি হামলাকে ফিলিস্তিনিদের টায়ার জালানো ও আগুন-বেলুন পাঠানোর বিরুদ্ধে নাপাক ইহুদিদের প্রতিশোধ হিসেবে উপস্থাপন করে এটিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করছে কপট রয়টার্স,এপি ও এএফপিসহ অধিকাংশ মিডিয়া আউটলেট!
মূলত আফগানিস্তানে দখলদারদের পরাজয় ও তালিবানের ইসলামী হুকুমত কায়েমের প্রেক্ষাপটে নিজদের চূড়ান্ত পতনের হাতছানি টের পেয়েই যায়নিস্টরা তাদের স্বপ্নের গ্রেটার ইসরায়েল বাস্তবায়নের জোড় প্রচেষ্টা শুরু করেছে বলে মত দিয়েছেন ইসলামি চিন্তাবিদগণ।