ফাতহে কাবুল ও ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক শক্তি

    3
    2000
    ফাতহে কাবুল ও ইমারতে ইসলামিয়ার সামরিক শক্তি

    মহান আল্লাহ্ তা’আলার ইচ্ছায় কাবুল বিজয়ের মাধ্যমে তালিবান মুজাহিদগণ প্রশাসনিক ক্ষমতা ও আফগানের বিস্তীর্ণ ভূমির নিয়ন্ত্রণ তো পেয়েছেনই, সেই সাথে তারা গনিমত হিসাবে পেয়েছেন ৮৫ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অগণিত সামরিক সরঞ্জাম, যা ইমারতে ইসলামিয়ার তালিবান মুজাহিদদেরকে সুসংগঠিত ও পরিণত করেছে বিশ্বমানের একটি সেনাবাহিনীতে।

    তাঁদের প্রাপ্ত গণিমতের মধ্যে রয়েছে কয়েক লক্ষ স্মল আর্মস (রাইফেল, পিস্তল, এলএমজি, কার্বাইন এবং যাবতীয় হস্তচালিত অস্ত্র), নাইট ভিশন গগলস, ট্রাক, যোগাযোগের সরঞ্জাম (যেমন ওয়াকিটকি), পিকআপ ট্রাক ও এসইউভি জিপ, হামভি, আর্টিলারি (কামান), এপিসি (আর্মর্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার বা সৈন্যবাহী সাঁজোয়াযান), মাইন-প্রতিরোধক সাঁজোয়াযান, ছোটো-বড় হেলিকপ্টার, বোমারু এবং পণ্য, সৈন্য ও রসদবাহী বিমান ইত্যাদি।

    প্রাপ্ত সব গণিমতের নির্ভুল হিসাব যদিও রাখা সম্ভব নয়, তবে আমেরিকার সরকারি একাউন্টিং অফিস, SIGAR (Special Inspector General for Afghanistan Reconstruction) এবং অন্যান্য সূত্র সময়ে সময়ে প্রাক্তন আফগান সেনাবাহিনীকে আমেরিকার দেয়া অস্ত্রের পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে একটি আনুমানিক হিসাব তৈরি করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক, তালিবান মুজাহিদীনরা মাযার-ই-শরীফ, হেরাত, কাবুল, কান্দাহার, কুন্দুয, লশকরগাহ এবং গারদেয অঞ্চলের সামরিক ঘাঁটি, অস্ত্রাগার, এয়ারফিল্ড ও গ্যারিসন থেকে সবচেয়ে বেশি গণিমত পেয়েছেন।

    যার মধ্যে রয়েছে:

    -প্রায় ২০০ বিমান এবং হেলিকপ্টার
    -৬০০,০০০ মার্কিন হালকা অত্যাধুনিক অস্ত্র
    -বিশ্বের ৮৫% এর চেয়ে বেশি ব্লাক হক হেলিকপ্টার্।
    -বায়োমেট্রিক ডিভাইসেস যা আমেরিকা ছাড়া অন্য কোন পরাশক্তির হাতে ছিলনা, সেগুলোও এখন তালিবানদের হাতে।

    ক্রুসেডার আমেরিকার গভার্মেন্ট একাউন্টিং অফিসের দেয়া তথ্য মোতাবেক তালিবান মুজাহিদিনরা কাবুল বিজয়ের পর গনিমত হিসাবে পেয়েছেন:

    -৭৫০০০ সামরিকযান। (চিন্তা করা যায়?)

    -২২ হাজার ১৭৪ টি হামভি।
    -৬৩৪ টি M117 এএসভি
    -১৬৯ টি M113 এপিসি
    -১৫৫ টি MRAP
    -৪২ হাজার বিভিন্ন মডেলের পিকাপ ও এসইউভি।
    -৬৪ হাজার ৩৬৩ টি এলএমজি ও মেশিনগান।
    -৮ হাজার ট্রাক।
    -১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৩ টি ওয়্যারলেস ও ওয়াকিটকি।
    -১৬ হাজার ৩৫ টি নাইট ভিশন গগল।
    -৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৩০ টি আমেরিকা তৈরি বিভিন্ন মডেলের এ্যাসল্ট রাইফেল।
    -১ লক্ষ ২৬ হাজার ২৯৫ টি পিস্তল।
    -১৭৬ টি আর্টিলারি।

    -MRAP – মাইন রেজিস্ট্যান্ট এ্যামবুশ প্রটেকটেড সাঁজোয়াযান।
    -এএসভি – আর্মর্ড সিকিউরিটি ভেহিকেল

    আর SIGAR এর তথ্য মোতাবেক তালিবান মুজাহিদিনরা পেয়েছেন:

    হেলিকপ্টার:
    -৩৩ টি Mi-17 হেলিকপ্টার।
    -৩৩ টি UH-60 Blackhawk হেলিকপ্টার।
    -৪৩ টি MD-530 হেলিকপ্টার

    ফিক্সড উইং বিমান:
    -৪ টি C-130 ট্রান্সপোর্ট বিমান।
    -A-29 Super Tucano বোম্বার ও এ্যাটাকার যুদ্ধবিমান।
    -২৮ টি Cessna 208 বিমান।
    -Cessna AC-208 Strike বিমান।

    বিপুল পরিমাণ আধুনিক এই সামরিক সরঞ্জাম তালিবান মুজাহিদীনদের সামরিকভাবে শক্তিশালী ও কুফফারদের মোকাবিলায় অপ্রতিরোধ্য করে তুলবে, ইনশাআল্লাহ!

    মূল ইনফোগ্রাফিক লিংক:

    বাংলায় অনুবাদ করা ইনফোগ্রাফিক:

    3 মন্তব্যসমূহ

    Leave a Reply to আবু বকর প্রতিউত্তর বাতিল করুন

    দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
    দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

    পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের মধ্যপ্রদেশে ব্যবসা করতে গেলে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতেই হবে, মুসলিম ব্যক্তিকে হেনস্থা
    পরবর্তী নিবন্ধআল-ফিরদাউস নিউজ বুলেটিন || আগস্ট ৪র্থ সপ্তাহ, ২০২১ঈসায়ী