মার্কিন বিমান বাহিনীর শেষ ফ্লাইটটিও অবশেষে আফগানিস্তান ছাড়ল

0
1996
মার্কিন বিমান বাহিনীর শেষ ফ্লাইটটিও অবশেষে আফগানিস্তান ছাড়ল

দীর্ঘ দুই দশকের দখলদারিত্মের অবসান ঘটিয়ে অবশেষ আফগানিস্তান ছেড়েছে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী। পেন্টাগন ঘোষণা করেছে যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলাকে অযুহাত হিসাবে দাঁড় করিয়ে ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে শুরু করে। সেই থেকে গত ২০ বছর যাবত আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সাথে লড়াই চলতে থাকে তালিবান ও আল-কায়েদা মুজাহিদদের। অতঃপর দীর্ঘ এই যুদ্ধে শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করে কুফ্ফার জোট। যার ফলে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় ওয়াশিংটন।

মার্কিন বাহিনী কর্তৃক কয়েক দফায় চুক্তি লঙ্ঘনের পল সর্বশেষ মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য তালিবানরা ৩১ আগস্টের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি পেন্টাগনের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই ঘোষণা করে যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সর্বশেষ সৈন্যরা সোমবার এবং মঙ্গলবার মধ্যরাতে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছে।

জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাককেঞ্জি যোগ করে, “আমি ঘোষণা দিচ্ছি যে, আফগানিস্তান থেকে আমাদের সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। আমি আমেরিকান নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার সামরিক মিশন শেষ করার ঘোষণা দিচ্ছি”।

সে আরো বলে, মার্কিন সেনা বহনকারী শেষ ফ্লাইটটি ছিল একটি সুপরিসর সি-১ সামরিক পরিবহন বিমান, যেটা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার দিবাগত রাতে কাবুল হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।

এদিকে আফগানিস্তান থেকে আগ্রাসী ক্রুসেডার আমেরিকার শেষ সৈন্যদলটি বিদায় নেওয়ার সাথে সাথে রাজধানী কাবুলে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করেন তালিবান মুজাহিদগ।

তালিবান মুখপাত্র মুহতারাম জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “আফগান সময় অনুযায়ী রাত ১২ টায় সর্বশেষ আমেরিকান সেনারা কাবুল বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। যার মধ্যদিয়ে আমাদের দেশ পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করেছে, আলহামদুলিল্লাহ্।

ক্রুসেডার বাহিনীর আফগানিস্তান ছাড়ার মধ্য দিয়ে দীর্ঘ একটি অধ্যায়ের সমাপ্ত হল এবং শুরু হল মুসলিম উম্মাহর ঘুরে দাড়ানোর নতুন এক অধ্যায়ের। আর এই নতুন অধ্যায় ও গল্পের শুরুতেই জানাই মুসলিম যুবকদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা, আহ্বান করছি তাদেরকে নতুন এই গল্পের একজন হতে…

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো হিন্দুদের দেবতার প্রশংসায় শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধআমেরিকার পলায়ন এবং মুজাহিদিনদের বিজয় অন্যান্য হানাদারদের জন্য বড় একটি শিক্ষা: তালেবান