দীর্ঘ ২০ বছর আগ্রাসী অ্যামেরিকার সাথে লড়াইয়ের পর গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেন ইমারতে ইসলামিয়ার জানবায তালিবান মুজাহিদিন। কাবুল বিজয়ের তিন সপ্তাহ পর অন্তর্বর্তী নতুন সরকারের নাম ঘোষণা কারেছেন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কাবুলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নতুন সরকারের নাম ঘোষণা করেন জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দ হাফিজাহুল্লাহ্ কে। তিনি গত ২০ বছর ধরে ইমারতে ইসলামিয়ার ‘রাহবারি শুরা’র প্রধান ছিলেন।
জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, নতুন এই মন্ত্রীসভায় উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোল্লা আব্দুল গানি বারাদার ও দ্বিতীয় সহকারী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আব্দুস সালাম হানাফী (হাফিজাহুল্লাহ্) কে। এরমধ্যে মোল্লা আব্দুল গানি বারাদার হাফিজাহুল্লাহ্ তালিবান আন্দোলন প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। সেই সাথে ইমারতে ইসলামিয়ার যে ক’জন কর্মকর্তা কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চালিয়েছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
ইমারতে ইসলামিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তালিবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান বা সাবেক আমীরুল মুমিনীন মোল্লা ওমর (রহিমাহুমুল্লাহ)’র ছেলে মোল্লা মুহাম্মাদ ইয়াকুব হাফিজাহুল্লাহ্’কে।
পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে আলহাজ মৌলভী শাইখ সিরাজুদ্দিন হাক্কানী (হাফিজাহুল্লাহ্) কে। তিনি হাক্কানী নেটওয়ার্কেরও প্রধান।
ঘোষণায় ইমারতে ইসলামিয়ার নতুন মন্ত্রীপরিষদের সর্বমোট ৩৩ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন-
– ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী: আমির খান মোত্তাকি হাফিজাহুল্লাহ্।
– ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা প্রধান: নজিবুল্লাহ হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ্।
– ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী: মোল্লা হেদায়েতুল্লাহ বদরী হাফিজাহুল্লাহ্
-ভারপ্রাপ্ত সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রী: মোল্লা খাইরুল্লাহ খাইরখা হাফিজাহুল্লাহ্।
– অর্থনীতি বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: ক্বারী দ্বীন মুহাম্মদ হানিফ হাফিজাহুল্লাহ্।
– ভারপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী: মৌলভী আবদুল হাকিম শরয়ী হাফিজাহুল্লাহ্।
– সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব: মুহতারাম জবিউল্লাহ মুজাহিদ হাফিজাহুল্লাহ্।
– চিফ অফ স্টাফ: ক্বারী ফাসিহউদ্দিন বাদাখশানি হাফিজাহুল্লাহ্।
– উপজাতি ও সীমান্ত বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: নূরুল্লাহ নুরি হাফিজাহুল্লাহ্।
– অভিবাসী বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: খলিলুর রহমান হাক্কানি হাফিজাহুল্লাহ্।
– গ্রাম সম্প্রসারণ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: ইউনুস আখুন্দজাদাহ হাফিজাহুল্লাহ্।
– জনকল্যাণ বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: মোল্লা আবদুল-মান্নান ওমারি হাফিজাহুল্লাহ্।
– খনিজ ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী: মোল্লা মুহাম্মদ ইসা আখুন্দ হাফিজাহুল্লাহ্।
– ভারপ্রাপ্ত পানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রী: মোল্লা আবদুল লতিফ মনসুর হাফিজাহুল্লাহ্।
– উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী: আব্দুল বাকী হাক্কানি
– জেনারেল ইন্টেলিজেন্স প্রেসিডেন্সির ভারপ্রাপ্ত প্রধান: মোল্লা আবদুল হক ওয়াছেক
– কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি: হাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস হাফিজাহুল্লাহ্
– প্রশাসনিক বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত প্রধান: আহমদ জান আহমদী হাফিজাহুল্লাহ্
– প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি: মোল্লা মুহাম্মদ ফাদেল মজলুম হাফিজাহুল্লাহ্।
– পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি: শের মুহাম্মদ আব্বাস স্টানিকজাই হাফিজাহুল্লাহ্।
– স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি: মৌলভী নূর জালাল হাফিজাহুল্লাহ্।
– গোয়েন্দা বিভাগের প্রথম ডেপুটি জেনারেল প্রেসিডেন্সি: মোল্লা তাজ মীর জাওয়াদ হাফিজাহুল্লাহ্।
– জেনারেল প্রেসিডেন্সি অফ ইন্টেলিজেন্সের প্রশাসনিক ডেপুটি: মোল্লা রহমতুল্লাহ নাজিব হাফিজাহুল্লাহ্।
– মাদক নিয়ন্ত্রণ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি: মোল্লা আবদুল হক আখুন্দ হাফিজাহুল্লাহ্।
আলহামদুলিল্লাহ
Allhamdulillah
আলহামদুলিল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ
আচ্ছা একটা প্রশ্ন হেবাতুল্লাহ আখান্দ জাদা এর আরেক নাম
কি হাসান আখন্দ?
না ভাই। হাসান আখুন্দ হলেন আমীরুল মুমিনীন হেবাতুল্লাহ আখুন্দযাদার উযীরে আযম বা প্রধানমন্ত্রী।