ফেইসবুক ও টুইটার সহ সামাজিক মাধ্যমগুলোর উপর চড়াও হচ্ছে দালাল হাসিনা সরকার; অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের মত প্রকাশের শেষ উপায়টার উপরেও এবার কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে তারা। খবর – নিক্কি এশিয়া, জাপান।
মূলত সরকারের দুর্নীতি আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক রিপোর্টগুলো বন্ধ করতেই সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক এই পত্রিকাটি। এক্ষেত্রে তারা সরকারের তথ্যপ্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের বক্তব্য উল্লেখ করেছে, “সরকার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চায়।”
সরকার এমন একটি আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে, যাতে করে তারা দেশের অভ্যন্তরেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের তথ্য সার্ভারে জমা করতে পারবে। নতুন আইনের আওতায় সরকার সামাজিক মাধ্যমগুলোকে বাধ্য করবে যাতে তারা ‘সরকারবিরোধী মিথ্যা প্রপাগাণ্ডা ছড়ানোর জন্য দায়ি’ একাউন্টের তথ্য সরকারকে সরবরাহ করে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সরকার ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’এর মাধ্যমে আগেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী ও সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করেছে। এই আইনের অধিনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আদালতের ওয়ারেন্ট ছাড়াই ‘মিথ্যা তথ্য প্রচারের’ দায়ে যেকাউকে গ্রেফতার করতে পারবে। ঐ আইন পাশের পর থেকেই শত শত সাংবাদিক ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী হামলা-মামলা ও পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছে। এই আইনের আওতায় গ্রেফতার কয়েকজন সাংবাদিকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুও হয়েছে।
এর তিন বছরের মাথায়ই সামাজিক মাধ্যম নিয়ন্ত্রণের আরেকটি আইন প্রণয়ন করা হলে, জনগণের প্রতিবাদ করার যে অধিকারকে আগেই গলা টিপে হত্যা করা হয়েছিল- তার কফিনে শেষ পেরাক ঠুকে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
অনেক বিশ্লেষক এমন মন্তব্যও করেছেন যে, এসকল আইনের উদ্দেশ্য একটাই। তা হল – সরকার ও তার সহকারিরা যা- খুশি-তা করবে, সারা দেশ লুটেপুটে খাবে, আর জনগণ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখবে; কেউ কোন প্রতিবাদ করতে পারবেনা। তাদের মতে, শেখ হাসিনা তার বাবার পথে হেটেই এদেশকে একটি নব্য ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র বানিয়ে ফেলেছে।
হাস্যকর চিন্তা ভাবনা _____________
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন
اِنَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُنۡفِقُوۡنَ اَمۡوَالَہُمۡ لِیَصُدُّوۡا عَنۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ؕ فَسَیُنۡفِقُوۡنَہَا ثُمَّ تَکُوۡنُ عَلَیۡہِمۡ حَسۡرَۃً ثُمَّ یُغۡلَبُوۡنَ ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِلٰی جَہَنَّمَ یُحۡشَرُوۡنَ ﴿ۙ۳۶﴾
নিশ্চয়ই কাফিরেরা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে নিবৃত্ত করার উদ্দেশে তাদের ধন সম্পদ ব্যয় করে, তারা তাদের ধন-সম্পদ ব্যয় করতেই থাকবে, অতঃপর ওটাই শেষ পর্যন্ত তাদের জন্য দুঃখ ও আফসোসের কারণ হবে এবং তারা পরাভূতও হবে। আর যারা কুফরী করে তাদেরকে জাহান্নামে একত্রিত করা হবে।
Verily, those who disbelieve spend their wealth to hinder (men) from the Path of Allah, and so will they continue to spend it; but in the end it will become an anguish for them. Then they will be overcomed. And those who disbelieve will be gathered unto Hell.