পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ- কখনো তারা আমেরিকার হয়ে নিজ দেশের মুসলিম জনগণের উপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করে, আবার কখনো সেটা করে চীনা বিনিয়োগের নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে।
সম্প্রতি দক্ষিণ ওয়াজেরিস্তানের মুসলিমদের উপর পাক বাহিনী বর্বরোচিত এক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, অথচ তাদেরকে রক্ষা করার জন্যই নিয়োজিত করা হয়েছিল এই বাহিনীকে, যারা তাদেরই দেওয়া ট্যাক্সের টাকায় চলে। উক্ত হামলায় কয়েকজন শিশুসহ অনেক নিরীহ মুসলিম হতাহতের শিকার হয়েছেন।
দক্ষিণ ওয়াজেরিস্তানের সারকাই তেহসিলে গত ২৮ সেপ্টেম্ব চালানো হয় এই হামলা, যার ছবি সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)। মূলত এজাতীয় হামলাগুলোর খবর ক্ষমতাবান এলিটরা কখনোই মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় ঠিকমত প্রচার হতে দেয় না, আর পাকিস্তানের মূল ক্ষমতার ছড়ি বরাবরই বিদেশি সাহায্য খেয়ে ফুলে-ফেঁপে উঠা আর্মি জেনারেলদের হাতেই থাকে।
তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলায় আহত শিশুদের ছবি প্রকাশ করার মাধ্যমে নিজ জনগনের উপর পাকি বাহিনী কর্তৃক চালানো ধারাবাহিক এসব বর্বরোচিত হামলার চিত্র কিছুটা হলেও জনসম্মুখে নিয়ে আসতে সফল হয়েছে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে আফগানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের হামলার পর থেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ ও নিজ দেশের জনগণের উপর হামলা চালিয়ে আসছে বিধর্মীদের দোসর এই দালাল পাকি বাহিনী। কখনো তালিবান-আলকায়েদাকে দমনের দোহাই দিয়ে আবার কখনোবা টিটিপি’র দোহাই দিয়ে নিজ জনগণের উপর নির্বিচার দমন-পীড়ন ও হামলা চালিয়ে আসছে ইসলামবিরোধী শক্তির দোসর এই বাহিনী।
এসকল কারণে ইসলামী চিন্তাবীদগণ মনে করেন, এই ভারতীয় ভূখণ্ডে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে জালেম পাকি বাহিনীর পাপের ইতিহাস হিন্দুত্ববাদী ভারতীয় বাহিনীর চেয়ে কোন অংশে কম নয়, বরং বেশি।