ভারতীয় বিমানবাহিনীর অফিসারদের একটি পার্টিতে এক সহকর্মীর হাতে ধর্ষিতা এক নারী এবার অভিযোগ তুলেছে, অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত হতে তাকে ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ করা হয়েছে; যা দেশে নিষিদ্ধ। -ওয়ান ইন্ডিয়া
এদিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অফিসারের বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের এই অভিযোগের তদন্তভার আবার বিমানবাহিনীর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের মহিলা কমিশন এক বিবৃতিতে বলছে, বিমানবাহিনীর একজন নারী অফিসারের তোলা অভিযোগের বিষয়ে তারা ভারতীয় বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা ভারতীয় বিমানবাহিনী ডাক্তারদের আচরণে অত্যন্ত হতাশ, ক্ষুব্ধ, কেননা তারা নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট করিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে, নির্যাতিতার সম্মান, গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারেও হস্তক্ষেপ করেছে।
প্রশিক্ষণ নিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর কলেজে যাওয়া ওই নারী অফিসার অভিযোগ করেছে, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে অফিসারদের মেসে পার্টিতে অংশ নিয়েছিল। মাদকাসক্ত হয়ে ভোরে তার ওপরে চড়াও হয় অভিযুক্ত। তখন পায়ে চোট থাকায় ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়েছিলেন তিনি। ঘুম ভেঙে জেগে ওঠার পর তিনি আবিষ্কার করে, তাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট হতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে থানায় যান। ওই নারীর দাবি, বিমানবাহিনীতে দু’বার তাকে অভিযোগপত্র তুলে নিতে চাপ দিয়ে বাধ্য করা হয়। আরেকবার তাকে বয়ান বদল করা একটি চিঠিতে সই করতে বলা হয়, কিন্তু তিনি রাজি হননি। ২০ সেপ্টেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী অফিসার।
নির্যাতিতার অভিযোগ, ধর্ষণ প্রমাণের জন্য ‘টু ফিঙ্গার টেস্টে’র কথা বলা হয় ভারতীয় বিমানবাহিনীর হাসপাতালে। পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ দেয় বাহিনীর দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এতে সংবাদমাধ্যমে বিমানবাহিনীর বদনাম হবে বলে জানানো হয় তাকে। এর পরই মূলত পুলিশের কাছে অভিযোগ করে ওই নারী।
অথচ, ভারতীয় হলুদ মিডিয়াগুলো পড়ে আছে আফগানিস্তানের নারী অধিকার নিয়ে। যেখানে শরিয়াহ শাসনের ফলে আল্লাহর রহমতে নারীরা পরিপূর্ণ নিরাপত্তার মাঝে আছেন।