সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আগ্রাসনকালীন সময়ে আফগান শিশুদেরকে পর্নোগ্রাফিক ম্যাগাজিন দেখাচ্ছে পরাজিত ব্রিটিশ দখলদার সৈনিকরা। একজন দখলদার সৈনিককে দেখা যায় সে ঐ ম্যাগাজিন-এর অশালীন দৃশ্যাবলী আফগান শিশুদের বর্ণনা করছে, আর অবুঝ শিশুরা হেসে একাকার হচ্ছে।
দখলদার বাহিনী আফগান থেকে পালানোর আগে-পরে পশ্চিমা দালাল বুদ্ধিজীবী আর হলুদ মিডিয়া আউটলেট গুলো বার বার আফগান শিশু আর নারীদের অধিকার রক্ষায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাতে থাকে, নেতারাও সেই সুরে বিবৃতি দিতে থাকে পরাজয়ের গ্লানি আড়াল করতে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছিল, তারা যেন নারী-শিশুদের অধিকার আদায় করতেই আফগানে যুদ্ধ করতে গিয়ে টনকে টন বোমা ফেলেছে! আর এখন তারা চলে আসায় আফগান শিশুরা প্রগতিশীলতা আর আধুনিকতার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে!
তবে এই ভিডিওতে এখন স্পষ্ট হল যে, তারা প্রগতিশীলতার নামে অশ্লীলতা আর নোংরামি শিখাচ্ছিল আগফান শিশুদের। এভাবে তারা ২০ বছর ধরে আফগানে অশ্লীলতায় বুঁদ হয়ে থাকা এক প্রজন্ম তৈরির ব্যর্থ প্রয়াস চালিয়েছে আফগানের ইসলামী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার জন্য।
তারা যে এখন আর কোন আফগান শিশুকে প্রগতিশীলতা বা নারীবাদের নামে অশ্লীলতা শিক্ষা দিতে পারবেনা, কিংবা এই মুসলিম দেশটিতে তাদের দেশের মতো পিতৃপরিচয়হীন প্রজন্ম তৈরি করতে পারবে না – এই আফসোসই তারা মিডিয়ায় অনবরত প্রকাশ করে যাচ্ছে ভিন্ন শব্দ দিয়ে ঢেকে।
সত্যিকার অর্থে তারা আফগান শিশুদের শিক্ষা লাভের অধিকার নিয়ে চিন্তিত হলে বোমা মেরে শত শত মাদ্রাসাও ধ্বংস করত না, প্রতিদিন গড়ে ৫ জন করে আফগান শিশুকেও হত্যা করতো না, কিংবা এভাবে আফগান শিশুদেরকে হাতে-কলমে নোংরামি আর অশ্লীলতার শিক্ষাও দিতো না।
তথ্যসূত্র :
——-
১. A video of British soy-ldiers showing Afghan kids their Porn magazines, teaching them their version of feminism – https://archive.org/details/a-video-of-british-soy