৬ ফিলিস্তিনি স্কুলে ইসরাইলি হামলা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ : অবাক নীরবতায় বিশ্ব!

2
1300
৬ ফিলিস্তিনি স্কুলে ইসরাইলি হামলা ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ : অবাক নীরবতায় বিশ্ব বিবেক!

অধিকৃত পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমে গত দুই সপ্তাহে ৬টি স্কুলে আক্রমণ ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী। উক্ত হামলাগুলয় বহু সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সহ ৫৫ আহত হয়েছেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের একটি এলাকার কয়েকটি স্কুলে বর্বর ইসরাইলি বাহিনী টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে ৪৬ জন শিক্ষার্থী আহত হয়, আহতদের পরে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছে। গ্যাসের তীব্রতায় তিনটি স্কুল থেকে সকল ছাত্র-ছাত্রীকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

জেরুজালেমে অপর একটি স্কুলের মাঠে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের ঘটনায় দুই ছাত্রী এবং এক শিক্ষক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এছাড়াও ৫০০ জন শিক্ষার্থী গ্যাসের তীব্রতায় আক্রান্ত হয়েছিল। এ ঘটনায় এ দিন পাঠদান স্থগিত করতে বাধ্য হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।

ফিলিস্তিনি বিভিন্ন স্কুলে, শিক্ষার্থীদের উপর এবং শিক্ষা-সম্পর্কিত খাতে ধারাবাহিক হামলা বৃদ্ধি করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা কর্মীদের উপর হামলা ও হুমকি, ফিলিস্তিনি স্কুলগুলোকে দখলদার বাহিনী কর্তৃক সামরিক কাজে ব্যবহার ও শিক্ষা খাতে বিভিন্ন ধরণের হস্তক্ষেপ- যা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের শিক্ষা অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করছে।

শুধুমাত্র ২০১৯ সালেই জাতিসংঘ পশ্চিম তীরের শিক্ষাখাতে দখলদার ইসরাইলের ২৫৭টি ঘটনা নথিভুক্ত করে, যার সবগুলোই শিশুদের শিক্ষার অধিকারকে বাধাগ্রস্ত করার। আর শিশুদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তো সেখানে নিত্য দিনের বিষয়।

তবে সব থেকে পরিতাপের বিষয়, বিরাট এক জনগোষ্ঠীর শিশুদের সিক্ষার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা নিয়ে ইউ.এন.ডি.পি বা ইউ.এন.এইচ.সি.আর অথবা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো মোটেও উদ্বিগ্ন নয়। পশ্চিমা মিডিয়াও এ নিয়ে টু-শব্দটি পর্যন্ত করে না।

বিপরীত দিকে হলুদ মিডিয়া, পশ্চিমা মানবাধিকার সংস্থাগুলো কিংবা জাতিসঙ্ঘ – সবাই আফগানিস্তানে স্কুল খোলা বা শিশুদের শিক্ষা লাভের অধিকার নিয়ে খুবই সরব। তাদের নানান প্রোপাগান্ডা ব্যর্থ করে দিয়ে যখন আফগানে মেয়েদের স্কুল খুলতে শুরু করেছে, এরা তখনো আশংকা প্রকাশ করে – ‘তালিবানরা মেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ দিলেও, এখনই বুঝা যাচ্ছেনা ভবিষ্যতে এই সুযোগ থাকবে কিনা!’

আসলে তারা আফগানে নারী শিক্ষার নামে কি চায়, ‘শিশুদের অধিকার আদায়’এর পেছনে তাদের উদ্দেশ্য কি, সেই সাথে তারাই আবার ফিলিস্তিনি শিশুদের ক্রমাগত সিক্ষার অধিকার ব্যপকভাবে ক্ষুণ্ণ হওয়ার পরেও কেন নীরব – এই প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়ে বিষয়গুলো মুসলিমদের ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন মুসলিম বিশ্লেষকগণ।

2 মন্তব্যসমূহ

Leave a Reply to abu Abdullah প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশ-শাবাব প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলায় পশ্চিমা সমর্থিত ২৫ সোমালি সেনা হতাহত
পরবর্তী নিবন্ধহিন্দুদের চরম ঔদ্ধত্ব: কুমিল্লায় পূজামন্ডপে মূর্তির পায়ের নিচে কুরআনের কপি রেখে অবমাননা