মানব রচিত বৈষম্যমূলক আইন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে উগান্ডার জনগণ, সেদেশে ধীরে ধীরে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইসলামি শরিয়াহ আইন।
দেশটির চার কোটি ৬০ লাখ মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ মুসলিম। ২০১৯ সালে দেশটিতে শরিয়াহ আইন চালু হয়, প্রতিটি জেলায় গঠন করা হয় ইসলামি আদালত। এর পর থেকেই সময়ের পরিক্রমায় প্রচলিত আলাদতের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শরিয়াহ আদালত।
আনাদোলুর এক খবর থেকে জানা যায়, সাফিনা নামুকোসে (৩০) নামে এক মুসলিম নারীকে তার তিন সন্তানের ভরণপোষণ না দিয়ে স্বামী অন্যত্র একটি বিয়ে করে সংসার করতে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি থানায় মামলাও করলেও পুলিশ ঘুস খেয়ে তার স্বামীকে খোরপোষ না দেওয়ার অপরাধে বিচারের আওতায় আনেনি।
কয়েক মাস ধরে থানা-পুলিশে ধরনা দিয়ে ক্লান্ত নামুকসে শেষ পর্যন্ত শরিয়াহ আদালতের দ্বারস্ত হন। এতে সাথে সাথেই কাজ হয়। স্বামী এসে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে সন্তানসহ প্রথম স্ত্রীর ভরণপোষণের দায়িত্ব নেন। সাফিনার মতো অনেকেই তাই এখন ভরসা করছেন ইসলামি আদালতে।
গত তিন মাসে কেবল বুগিরি জেলাতেই শরিয়া আদালত ১৪০ মামলা নিষ্পত্তি করেছে। ওই জেলায় সবচেয়ে বেশি মুসলিমদের বসবাস। উগান্ডার মুসলিম সুপ্রিম কাউন্সিলের মুখপাত্র আশরাফ মুভাওয়ালা জোড় দিয়ে বলেন যে, দিন দিন এখানে শরিয়াহ বিচারব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উল্লেখ্য, মানব রচিত সংবিধানে সকল সমস্যার সমাধান নেই, তাছাড়া ঘুষ-দুর্নীতির কারণে বিচার ব্যবস্থা প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে। একারণে দিনকে দিন মানুষ আল্লাহ তায়ালার শরিয়া ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে মনে করেন হকপন্থী উলামাগণ, কেননা এতেই রয়েছে মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান।
তথ্যসূত্র:
উগান্ডায় জনপ্রিয় হচ্ছে শরিয়াহ আইন – https://tinyurl.com/vz9y5u23
যাত্রীভর্তি ট্রেনে ধর্ষণের শিকার নারী, বাধা দিলো না কেউ প্রতীকী ছবি
যাত্রীভর্তি ট্রেনে ধর্ষণের শিকার হলেন এক নারী, কিন্তু তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলো না একটি মানুষও। অথচ তারা চাইলেই আটকাতে পারতেন নির্যাতনকারীকে। এমনকি কেউ যদি পুলিশের কাছে ফোন করতেন, তাহলেও হয়তো বীভৎস এ ঘটনা থামানো যেতো। কিন্তু কেউ কিছুই করলেন না, শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে গেলেন পুরো ঘটনা। সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত চিত্রই যেন তুলে ধরলো এই ঘটনা।
এটুকু পড়ে যদি ধরে নেন, তৃতীয় বিশ্বের কোনো অনুন্নত অনিরাপদ দেশে ঘটেছে এই ঘটনা, তাহলে ভুল করবেন। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে তথাকথিত ‘নিরাপদ দেশ’ যুক্তরাষ্ট্রে।
বার্তা সংস্থা এপি’র খবর অনুসারে, গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) পেনসিলভানিয়ার বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ায় একটি কম্যুটার ট্রেনের ভেতর ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ওই নারী। শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আপার ডার্বি পুলিশের সুপারিনটেন্ডেন্ট টিমোথি বার্নহার্ড।