ভারতের সরকারী দল হিন্দুত্ববাদী বিজেপি’র কট্টর মুসলিমবিদ্বেষী নেতা সুব্রামানিয়াম স্বামী কয়েক বছর আগে বলেছিল যে, বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন বন্ধ না হলে ভারতের উচিৎ বাংলাদেশে আক্রমন করা। তাঁর এই বক্তব্য বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী পেইজ থেকে এখন বার বার প্রচার করে এর পক্ষে ব্যপক জনমত গড়ে তোলা হচ্ছে।
ভারতে ‘সেভ হিন্দুস অফ বাংলাদেশ’ নামে হ্যাসট্যাগ ট্রেন্ডও চালু হয়েছে ফেইসবুক ও টুইটেরে। বিভিন্ন একাউন্ট থেকে ক্রমাগত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বাংলাদেশে আক্রমনের কথা প্রচার করা হচ্ছে। জায়গায় জায়গায় এখন বাংলাদেশ বিরোধী মিছিল হচ্ছে ভারতে।
অথচ ভারতে মুসলিমদের পিটিয়ে হত্যা করা হলে কিংবা কাশ্মীরে মুসলিম মা-বোনরা নির্যাতিত হলে এদেশের দায়িত্বশীলরা বলে যে, এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কেউ আমাদের দেশের জল ঘোলা করার চেষ্টা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে!
এদিকে গত ১৭ অক্টোবর ‘দা বাংলাদেশ ডিফেন্স এনালিস্ট’এর ফেইসবুক পেইজে ভারতীয় হিন্দুদের নিয়ে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভারতের একটি প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ক্রমাগত ‘বাংলাদেশ মুর্দাবাদ’ (বংলাদেশ নিপাত যাক) শ্লোগান দেওয়া হতে থাকে। মিছিল থেকে বলা হতে থাকে, ‘এজন্য আমাদের হিন্দুদেরকে এক সাথে হয়ে লড়তে হবে, হিন্দু হিন্দু ভাই ভাই…’
সমাবেশের ঐ বক্তার পাশেই এক ব্যক্তি বাংলাদেশের পতাকা পায়ে মাড়াতে থাকে ক্রমাগত।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ জানানো হয়নি, চেতনার বুলি আওরানো তথাকথিত বুদ্ধিজীবী আর কথিত স্বাধীনতার পক্ষের মিডিয়া আউটলেটগুলোও ছিল নিশ্চুপ।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত ও বাংলাদেশে বাড়তে থাকে হিন্দুত্ববাদের প্রভাব ও মুসলিমবিদ্বেষ অত্র অঞ্চলের মুসলিমদের দিকে ধেয়ে আসা কোন ভয়াল ঝড়েরই পূর্বাভাস দিচ্ছে।
দৃষ্টি আকর্ষণ করছি….
এভাবেই ইস্কনরা হিন্দু এবং মুসলমানদের মাঝে দাংগা লাগাবে এবং ভারত বিশ্ববাসীকে দেখাবে বাংলাদেশের হিন্দু নিরাপদ নয় (জাতিসংঘ কিন্তু অলরেডি বলছে) বিধায় বাংলাদেশের হিন্দুদের কে আমাদের নিরাপত্তা দিতে হবে এই অজুহাতে তার বাংলাদেশে প্রবেশ করবে……..
বাংলাদেশে দাঙ্গা লাগিয়ে মোদী বিশ্ব বাসিকে দেখাবে বাংলাদেশ চালনায় সরকার অক্ষম তখন অবৈধ হাসিনা সরকারের কাছে থেকে ক্ষমতার চাবি হাতে নিয়ে দেশটাকে রামরাজত্বের অংশ বানাবে।
এরকম নিল নকশাই আকছে মোদী সরকার আর তার সহকর্মী হাসিনা।