পাক-তালিবান যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের চিত্তাকর্ষক দৃশ্য সম্বলিত ভিডিও সিরিজ-৭

ত্বহা আলী আদনান

8
7931
পাক-তালিবান যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের চিত্তাকর্ষক দৃশ্য সম্বলিত ভিডিও সিরিজ-৭

তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) কর্তৃক পরিচালিত আল-ফারুখ সামরিক ক্যাম্প থেকে সম্প্রতি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন অকুতোভয় একদল তরুন মুজাহিদ। সামরিক ক্যাম্প থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই যুবক মুজাহিদদের নিয়ে “المعدون للقتال” শিরোনামে ৩৮ মিনিটের একটি মনোমুগ্ধকর ভিডিও প্রকাশ করেছে টিটিপির অফিসিয়াল উমর মিডিয়া।

সম্প্রতি প্রকাশিত ৩৮ মিনিটের এই ভিডিওটি শুরু হয় মুজাজিদের আযান ও মহান রবের ফরজ বিধান সালাত আদায়ের মধ্যদিয়ে। এরপর মুজাহিদগণ নিজেদের অবস্থান থেকে তাওহীদের কালিমা খচিত সাদা পতাকা হাতে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের দিকে একে একে বের হয়ে আসতে থাকেন।

ভিডিওটির কয়েক মিনিট ব্যাতিত সম্পূর্ণ ভিডিও জুড়েই মুজাহিদদের সামরিক প্রশিক্ষণের দৃশ্যগুলো দেখানো হয়েছে। প্রশিক্ষণরত মুজাহিদদের দক্ষতা যাচাই করতে ক্যাম্পে অবস্থান করছিলেন বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত টিটিপির আঞ্চলিক কমান্ডারগণও।

এছাড়াও প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি হতে যারা নিজেদের সামরিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন, তাদের মধ্যে যারা সবাচাইতে ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছেন, তাদের হাতে পুরস্কারও তুলে দেন কমান্ডারগণ। আর সেই সাথে ভিডিওটি জুড়ে শোভা পাচ্ছিল উর্দু ও পশতু ভাষার চমৎকার সব ইসলামিক নাশিদ।

ভিডিওটি অনলাইনে দেখতে…

https://rumble.com/voff63-almueedoon-lil-qital-07-rabiulawwal1443-october2021.html

ফুল HD ভিডিও ডাউনলোড লিংক: (৮৮৯ mb)

https://drive.google.com/file/d/1Dpje-6ZQ-nvs_RGc81ndUu_IGhwkPCZK/view?usp=sharing

https://www.mediafire.com/file/7s2ad20aajox2zr/AlMueedoon_Lil_Qital_07_RabiulAwwal1443_October2021_1080p.mp4/file

HD ভিডিও ডাউনলোড লিংক (৬০৭ mb)

https://drive.google.com/file/d/1K3LIA6bVJorZ3bIOG-cNLJUgotoTT4HN/view?usp=sharing

https://www.mediafire.com/file/8472nak00i190it/AlMueedoon_Lil_Qital_07_RabiulAwwal1443_October2021_720p.mp4/file

সাধারন ভিডিও ডাউনলোড লিংক (১৭৫ mb)

https://drive.google.com/file/d/15TVNhekQaDdU7Wl3XXoblbw_5e1tgjWb/view?usp=sharing

https://www.mediafire.com/file/7n3o6nik6ufua8a/AlMueedoon_Lil_Qital_07_RabiulAwwal1443_October2021_360p.mp4/file

8 মন্তব্যসমূহ

  1. ⚔️
    সাম্প্রতিক জিহাদ সমর্থক ভাই-বোনদের গ্রেফতারি ও তৎসংশ্লিষ্ট কিছু কথা

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ.

    মুহতারাম ভাই ও বোনেরা!

    গত কিছু দিন পূর্বে বাংলাদেশে আমাদের বেশ কিছু সমর্থক ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের নামও আমরা অতিসচেতনভাবেই এড়িয়ে যাচ্ছি, কেননা এই ফোরামে সেই ভাই-বোনদের নাম উল্লেখ করাটাও হয়তো তাদের জন্য ঝুঁকি সাব্যস্ত হবে। আল্লাহ উনাদের সম্মানজনক মুক্তিকে ত্বরান্বিত করুন। দ্বীনের পথে অটল ও অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। এর সাথে জড়িত তাগুত বাহিনীর প্রতিটি সদস্য থেকে বদলা নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।
    এই ভাইয়েরা যে নিতান্তই সাধারণ ইসলামপসন্দ ও জিহাদপ্রেমী যুবক-যুবতী, তা তো জিহাদি আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখা ব্যক্তি মাত্রই অবগত। শুধু এই ভাইয়েরা-ই নন, ইতিপূর্বেও অসংখ্য জিহাদপ্রেমী ভাই ও বোন গ্রেফতার হয়েছেন, যাদের কেউ হয়তো কোন ভিডিও শেয়ার দিয়েছেন, অথবা লাইক দিয়েছেন অথবা অন্য কিছু করেছেন, যা একজন মুমিনমাত্রই ইমানের তাকাজায় করতেন।
    কিন্তু এটাও বাস্তবতা যে আজ সমগ্র কুফরি বিশ্ব ও তাদের দোসরেরা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও জিহাদপ্রেমীদের গ্রেফতারের নানা ধরণের ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। ইতিপূর্বে আমরা এই সকল বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু আমাদের কতক অবুঝ ভাই বারবার আমাদের সেই সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করেছেন। আর তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছেন। আল্লাহ সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন। আমীন। তো এই পরিস্থিতিতে কিছু পয়েন্ট আলোচনা করতে চাই-

    ১- ভাই-বোনেরা কেন গ্রেফতার হলেন?
    এই কথার সহজ উত্তর হল তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই ফাঁদগুলোর মাঝে রয়েছে- মুজাহিদিন বা কারাবন্দীদের নামে সাদাকা কালেকশন করা বা সাদাকাতে অংশ নেওয়া, তাগুত কর্তৃক তাদের মোবাইল বা পিসিতে অথবা তাদের সামাজিক মাধমের ইনবক্সে ভাইরাসযুক্ত ফাইল প্রেরণ, অর্থাৎ যেকোনভাবে তাদের আইপি অথবা নাম্বার লিক করার মাধ্যমে তাগুত বাহিনী তাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে।

    ২- মুজাহিদদের নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলনকারীদের থেকে দূরে থাকুন!
    অনেকে আল কায়েদা অথবা অন্য কোন জিহাদি দল বা ব্যক্তির নামে অনলাইনে সাদাকা উত্তোলন করে থাকে। এটি যেই করুক, বহু বছরের পুরনো কোন জিহাদি সেলিব্রেটি আইডিও যদি করে, তাহলে নিঃসন্দেহে তাকে সন্দেহ করুন! ৯৯% সম্ভাবনা আছে সে তাগুতের সদস্য, অথবা সে কোন আবেগি জিহাদ সমর্থক, সে কেমন যেন নিজেকে ধ্বংসের পাশাপাশি আরও বহু সাধারণ লোকদেরকে বিনামূল্যে তাগুতের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে। আপনারা হয়তো ‘দারুল জান্নাত’ নামে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপের কথা জেনেছেন, যেখানে যুক্ত অন্তত ৪০+ জিহাদপ্রেমী যুবক ভাইকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। আপনি সংখ্যাটা চিন্তা করুন! ৪০ জন লোক তাগুতের পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে! আমার মাঝে মাঝে আফসোস লাগে, আমাদের যুবক ভাইয়েরা এতো আবেগি ও অস্থির কেন? কেন তারা স্বেচ্ছায় নিজেদেরকে তাগুতের হাতে তুলে দেন? কেন তারা আল কায়েদার উমারা ও তাদের সতর্কতাকে অবমূল্যায়ন করে? ইয়া আসাফা!!

    ৩- অনলাইন জিহাদি আইটি বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন!
    সম্প্রতি অনলাইনে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে বেশ কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যারা নিজেদের নামের সাথে উস্তাদ যুক্ত করে নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা নিজেদেরকে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হিসেবেও জাহির করছেন।
    এখানে প্রসঙ্গক্রমে একজন্য ব্যক্তির ব্যাপারে বলতে চাই, তিনি ‘আবু ইয়াহিয়া’ নামে পরিচিত। আমরা তার বেশ কিছু পোস্ট ও লেখনী পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। এই ব্যক্তি যেসব নিরাপত্তানিত টিপস শেয়ার করছে; সেগুলো মূলত বিভিন্ন জিহাদি সোর্স থেকে নেওয়া, পাশাপাশি তিনি নিজের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত কিছু যোগ করে আইটি বিষয়ে নানা সমাধান দিচ্ছেন। আর দাবি করছেন এগুলো উনিই লিখেছেন। এখানে আরও শঙ্কার বিষয় হল, এই ধরণের ব্যক্তিরা নিজেদেরকে আল কায়েদা সমর্থক অথবা সদস্য বলে দাবি করছেন। আমরা এই ব্যক্তিকে ভালো-মন্দ কিছু বলতে চাই না, তবে তিনি নিজেকে যেভাবে পেশ করছেন, সেটি নিঃসন্দেহে সন্দেহের উদ্রেক করে-
    এ সকল ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দু’টি মূলনীতি আমি সম্মানিত ভাইদের কাছে পেশ করতে চাই-
    ক- জিহাদি কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট আইটি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসার উত্তর অনলাইনে যার তার কাছ থেকে নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আমরা আপনাকে উৎসাহ দিবো আপনারা অবশ্যই আল কায়েদার অফিসিয়াল ফোরাম ও ওয়েবসাইটগুলোতে জিজ্ঞাসা করুন। এছাড়া যে কোন ব্যক্তিকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা থেকে বিরত থাকুন! যদি অফিসিয়াল ফোরাম বা সাইটে উত্তর দেওয়া হয়, তাহলে ভালো আলহামদু লিল্লাহ, অন্যথায় সবর করুন!
    খ- কেউ যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইটি সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করেও, তা নিয়ে আমভাবে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি নেই। তবে আপনারা অবশ্যই ‘আল কায়েদার সমর্থক বা অনুসারী অথবা এই সমাধান আল কায়েদার মুজাহিদদের দেওয়া’, এমনটি বলা থেকে বিরত থাকুন! কেননা আপনার এই লেখা ও তার ফলাফলের জিম্মাদারি কেবলই আপনার!

  2. 🟥⚔️🔴

    ৪- আল কায়েদা অনলাইনে সদস্য গ্রহণ করে না!
    আল কায়েদা ফেসবুক, টুইটার, টেলিগ্রাম বা অন্য কোন সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সদস্য গ্রহণ করে না। টাকা তুলে না। কেউ যদি আপনাকে ম্যাসেজ করে এমন কোন কথা বলে তাহলে নিশ্চিত জানবেন সেই ব্যক্তি ভেজাল।
    আবার অনেক ভাইকে দেখা যায় অনলাইনে কেউ জিহাদ নিয়ে দু’ কলম লিখলেই ‘জিহাদি সংগঠনে’ যোগ দেওয়ার ইচ্ছায় তাকে ম্যাসেজ করে বসেন। পরবর্তীতে দেখা যায় উক্ত ব্যক্তি তাকে কারাগারে পৌছিয়ে দিয়েছে। একবার এক ভাই আমাদের ফোরামে মশওয়ারা চেয়েছেন, অমুক লোক অনলাইনে ভালো লেখেন, তার মাধ্যমে আমি তানযিমে যোগ দিতে চাচ্ছি, অথবা তার সাথে অফলাইনে যোগ দিতে চাচ্ছি, আমরা সেই ভাইকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি আমাদের বাতলে দেওয়া উসুল অমান্য করেছেন। পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়েছেন, যা মিডিয়াতেও এসেছিল।
    এমনিভাবে অনেক লোককে অনলাইনের মাধ্যমে সংগঠন করা বা লোকদেরকে একত্রিত করার প্রচেষ্টা চালাতে দেখা যায়।
    এই ধরণের লোকদের থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকা আবশ্যক। কেননা, এই সকল ক্ষেত্রের প্রায় ক্ষেত্রে তাগুতের ফাঁদ বলেই প্রমাণিত হয় এবং সাধারণ ভাইয়েরা গ্রেফতার হন। সুতরাং অনলাইনে কোন তানযিমে যোগ দেওয়া বা কোন তানযিম গড়ে তোলা থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকুন! কেউ এই ধরণের অফার দিলে অতিঅবশ্যই তাকে সন্দেহ করুন ও এড়িয়ে চলুন!

  3. 🔴⚔️🟥🇧🇩🦵🇧🇩🦵🇧🇩🦵🇮🇳🦵🇮🇳🦵🇮🇳🦵🇵🇰🦵🇵🇰🦵🇵🇰🦵
    ৬- জিহাদি কাজে টর ব্রাউজার অথবা ভালো মানের ভিপিএন ইউজ করুন!

    সম্মানিত ভাইয়েরা! এই ছিল বিক্ষিপ্ত কিছু কথা। ওয়াল্লাহি এতে কাউকে কষ্ট দেওয়া উদ্দেশ্য নেই ও ছিল না। কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে ক্ষমা চাই। নিজে নিরাপত্তা গ্রহণ করুন! নিরাপত্তার সাথে মুজাহিদদের আকিদা-মানহাজ প্রচার করুন! তাগুত বাহিনীর পাতা ফাঁদে পা দেওয়া থেকে বিরত থাকুন! সর্বোপরি সকাল-সন্ধ্যার আযকার আদায়ে সচেষ্ট হোন। নিজের জন্য ও আপনাদের সকল মুজাহিদ ভাইদের জন্য দুয়া করুন।

Leave a Reply to 🗡️হাদিম আল-জাসুসিয়্যাহ☝️ প্রতিউত্তর বাতিল করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবারো ইসলামের শত্রুদের উপর আশ-শাবাবের তীব্র হামলা : হতাহত ১৩ গাদ্দার সেনা
পরবর্তী নিবন্ধবুর্কিনা-ফাঁসো | ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে আল-কায়েদার যুগান্তকারী হামলা : নিহত ৩১ এরও বেশি গাদ্দার সেনা