হিন্দুত্ববাদী হুমকিতে উত্তপ্ত মাথুরা : লোক দেখানো পুলিশি উপস্থিতি

ওবায়দুল ইসলাম

0
1166
হিন্দুত্ববাদী হুমকিতে উত্তপ্ত মাথুরা : লোক দেখানো পুলিশি উপস্থিতি

তাহলে কি আরও একটি বাবরী মসজিদের মত আরও একটি মসজিদ আজ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে?
উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীগুলি তাদের কথিত কৃষ্ণ জন্মভূমি কে “শুদ্ধ” করার জন্য “জল অভিষেক” করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা শাহী ইদগাহ মসজিদ সংলগ্ন জায়গায় তাদের কথিত ভগবান কৃষ্ণের একটি মূর্তি স্থাপনের অঙ্গীকার করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ সেখানে ‘লোক দেখানো’ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। তবে এর উদ্দেশ্য অবশ্যই মুসলিমদের সাহায্য করা নয়; কেননা এমন অনেক ঘটনায় এই লোক দেখানো পুলিশি উপস্থিতি পরবর্তীতে হিন্দুত্ববাদীদের সহায়তাই দিয়ে থাকে।

উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের দাবি ১৭ শতকে স্থাপিত হওয়া ‘শাহী ঈদ্গাহ’ মসজিদটি তাদের কথিত ‘কৃষ্ণ’ ভগবানের জন্মভূমি। কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা স্লোগান দেয় “আয়োধ্যা সির্ফ ঝাঁকি হ্যায়, কাশি মাথুরা বাকী হ্যায়”। অর্থাৎ ‘অযোধ্যা তো ছিলো শুধু একটি ট্রেইলার, কাশি ও মাথুরা এখনও বাকী আছে’।

উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হয়ে ‘শ্রী কৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা’ দাবি করে যে, মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব তাদের কথিক কৃষ্ণ ভগবানের জন্মভূমির জায়গায় মসজিদ নির্মাণ করেছে। তাদের এই দাবি মূলত ভিত্তিহীন একটি বক্তব্ব্য, মুসলিমবিদ্বেষ উস্কে দেওয়া এবং মুসলিমদের প্রতি ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া যার আর কোন উদ্দেশ্য নেই। আর ঠিক এমনটাই ঘটেছিলো ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদের ক্ষেত্রে।

উল্লেখ্য ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শুরু হয় ব্যাপক হারে মুসলিম নির্যাতন। একের পর এক তুচ্ছ কারণে নির্যাতন করে চলেছে তারা মুসলিমদের। শুধুমাত্র গরুর গোশত রাখার সন্দেহেই তারা পিটিয়ে মেরে ফেলছে মুসলিমদের। এছাড়া খোলা জায়গায় জুমুআ’র নামাজ আদায়ে বাঁধা দেওয়া, রাস্তা থেকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে মুসলিম নারীর বোরখা খুলে নেওয়া, গরীব মুসলিমদের কে দিয়ে জোর করে ‘জয় শ্রী রাম’ বলানো ইত্যাদি তো এখন ভারতীয় মুসলিমদের জন্য নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র:
——-
১। Heavy Police Presence in Mathura Over Threats by Hindutva Groups
https://tinyurl.com/yckwsef8

মন্তব্য করুন

দয়া করে আপনার মন্তব্য করুন!
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবী অবমাননাকারী শ্রীলঙ্কান হত্যায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে কঠোর গাদ্দার পাকি প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধজুলুম থেকে মুক্তির পূর্বশর্ত : গণতন্ত্রের বিভক্তি থেকে মুক্তি