পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুর্কিনা-ফাঁসো, বেনিন ও টোগোর গুরুত্বপূর্ণ তৃসীমান্ত শহর ‘নাদিয়াগৌ’ তে এখন শাসন চলছে আল-কায়েদার।
বিবরণ অনুযায়ী, গত ০৩/১২/২০২১ তারিখ ভোরে বুর্কিনা-ফাঁসোর গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহর নাদিয়াগৌ-র নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’ এর বীর যোদ্ধারা। শহরটি আল-কায়েদা যোদ্ধাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এটি পশ্চিম আফ্রিকার ৩টি দেশের (বেনিন, টোগো ও বুর্কিনা-ফাসো) সীমান্তকে একত্রিত করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, বেশ কিছুদিন ধরেই শহরটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে লড়াই করে যাচ্ছিল আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী ‘জেএনআইএম’এর মুজাহিদগণ। তবে নভেম্বর শেষ দিকে শহরটি পরিপূর্ণরূপে অবরোধ করে ফেলেন তাঁরা এবং ২৯ নভেম্বর সরকারি বাহিনীকে লক্ষ্য করে শহরটিতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা অভিযান চালান আল-কায়েদা যোদ্ধারা। ঐদিনের হামলায় শহরটিতে সরকারি বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়ে, কেননা সেদিন জেএনআইএম যোদ্ধারা শহরের কেন্দ্রস্থলের বাহিরে থাকা সমস্ত চেকপোস্ট, কোস্টগার্ড ও পুলিশ স্টেশন ধ্বংস ও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়।
মুজাহিদদের দুর্দান্ত এই হামলার পর যুদ্ধের মনোবল হারায় সামরিক বাহিনী। অপরদিকে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ‘সেকেন্ড ফোর্স’ তাদের সকল পোস্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে ৩ ডিসেম্বর ভোরের হামলার পর অল্পসময়ের মধ্যেই পুরো শহর ও অনুষঙ্গিক স্থানসমূহ আল-কায়েদার প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
উল্লেখ্য যে, ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনীর বীর মুজাহিদরা শহরটিতে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির পর থেকে সীমান্তের অপরাপর দেশগুলোতেও হামলা চালাতে শুরু করেছেন। যার ধারাবাহিতায় তাঁরা ১লা ডিসেম্বর সকালে এবং ২ ডিসেম্বর রাতে প্রতিবেশি দেশ বেনিনে ২টি হামলা চালিয়েছেন। এর কিছুদিন আগে তাঁরা টোগোতেও বীরত্বপূর্ণ হামলা চালিয়েছেন। এসব হামলায় অসংখ্য গাদ্দার সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত ও আহত হয়েছিল।