পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে দখলদার জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষীদের একটি সামরিক কনভয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দখলদার জাতিসংঘের ১০ সেনা হতাহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিবরণ অনুযায়ী, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে কুফরের রাজ্য প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত জাতিসংঘের কথিত শান্তিরক্ষী মিশন (MINUSMA) এর অধীনস্ত টোগোর গাদ্দার সৈন্যদের একটি সামরিক কনভয় মালির মোপ্তি রাজ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়েছে। গত বুধবার (৮ ডিসেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে।
গাদ্দার সৈন্যদের কনভয়টি মোপ্তি রাজ্যের বান্দিগাড় এলাকায় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়েছিল। বিস্ফোরণটি এমন সময় ঘটে যখন কনভয়টি ভারি অস্ত্রসহ ডুয়েন্টাজা থেকে সেভারে যাচ্ছিল। আর এতেই ৭ দখলদার সৈন্য নিহত এবং আরও ৩ সৈন্য গুরুতর আহত হয়।
দখলদার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ হামলা ও হতাহতের এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সেই সাথে কুফ্ফার সংঘটির মহাসচিব আন্তোনিও হুতেরেস এবং MINUSMA এর প্রধান আল-ঘাসিম ওয়ান বরকতময় এই হামলায় নিজেদের কষ্ট পাওয়ার কথা জানিয়েছে।
এদিকে মালির কেন্দ্রীয় অঞ্চলগুলোতে বিশেষ করে মোপ্তি রাজ্যে সবচাইতে বেশি সক্রিয় রয়েছেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ বাহিনী জামা’আত নুসরাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন (জেএনআইএম)। তাই স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো অনুমান করছে যে, বরকতময় এই হামলাটি আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামিক প্রতিরোধ যোদ্ধারা চালিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১২ সাল থেকে মালিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্ভাব্য ইসলামিক ইমারতকে দমানোর জন্য আগ্রাসন চালায় দখলদার পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু মুজাহিদদের দুর্বার যুদ্ধকৌশলের কাছে বার বার পরাজিত হয় দখলদার ও গোলাম সৈন্যরা। পরে এই যুদ্ধে সরাসরি সামরিকভাবে অংশগ্রহণ করে ক্রুসেডার ফ্রান্সের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কুফ্ফার বাহিনী। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই ক্রুসেডার বাহিনী মালিতে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ কায়েম করে রেখেছে। মুসলিমদের উপর চালানো হয়েছে সবরকম জুলুম-নির্যাতন, হত্যা আর লুণ্ঠন। কিন্তু কুফ্ফার বাহিনীর শত জুলুমের পরেও দমে যাননি দেশটির তাওহিদবাদী মুসলিমরা। তাঁরা কুফ্ফার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন এবং শরিয়াহ্ শাসন ফিরিয়ে আনতে মুজাহিদদের কাতারে যুক্ত হয়েছেন।
মুজাহিদদের সাথে জনগণের এই সম্পৃক্ততা কুফ্ফার বাহিনীগুলোকে আরও কঠিন পরিস্থিতে ফেলে দেয়। এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে কাফেররা নতুন চেহারায় মালিতে প্রবেশ করে। তারা বিশ্বকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, তারা মালিতে শান্তি ফেরানোর জন্য কাজ করছে। আর এই কথিত শান্তি ফেরানোর অজুহাতে দেশটিতে প্রবেশ করে দখলদার জাতিসংঘের প্রায় ১৬ হাজার ৬শত সৈন্য।
আলহামদুলিল্লাহ্, মুজাহিদগণ কুফ্ফার জাতিসংঘের এই চক্রান্তকেও জনসম্মুখে নিয়ে আসেন এবং এই কুফ্ফার সংঘের সৈন্যদের উপরও মুজাহিদগণ ধারাবাহিকভাবে সফল হামলা চালাতে থাকেন।