গত ২৯শে আগস্ট ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ড্রোন হামলা চালায় বিশ্ব-সন্ত্রাসী আমেরিকা। ঘটনাটি ঘটে ইসলামী ইমারাত আফগানিস্তানের ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করার পর মার্কিন বাহিনী কাবুল ছেড়ে যাওয়ার একদিন আগে। এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সহায়তা কর্মী আহমাদি ও তার পরিবারের নয়জন সদস্য, যাদের মধ্যে সাতজনই শিশু।
সন্ত্রাসী আমেরিকা জানিয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দারা ধারণা করছিল যে ওই সহায়তা কর্মীর গাড়ি ইসলামিক স্টেটের স্থানীয় শাখা আইএসকেপি(ISKP)-এর কার্যকলাপের সাথে জড়িত। কেবল ধারণার ভিত্তিতে কাবুলে সেই হামলাটি চালানো হয় এবং আইএস-এর ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে পরবর্তীতে বিবৃতি দেয় তারা।
কিন্তু এ বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে জানা যায় যে, হামলায় যারা মারা গেছেন তাদের সাথে আইএসের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। বরং তারা সকলেই ছিলেন নিরপরাধ।
এসব নিরপরাধ ব্যক্তি ও শিশুদের হত্যা করেও সম্প্রতি এ বিষয়ে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন ঘোষণা দিয়েছে যে, ওই হামলায় কোনো আইন ভঙ্গ করা হয়নি এবং কোনোরকম অসদাচরণ বা অবহেলার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তাই কারও বিরুদ্ধে কোনোরকম শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন তারা দেখছে না।
এরা ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা, নাগাসাকিতে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ হত্যা করেও বলেছে যে, সেখানে নাকি তারা সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে! এভাবেই আমেরিকা সর্বদা নিরপরাধ মানুষকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে হত্যা করেছে, পরবর্তীতে তা গর্বের সাথে প্রচারও করেছে।
তথ্যসূত্রঃ আফগানিস্তান: ড্রোন হামলা চালানোর জন্য কোন মার্কিন সৈন্যের সাজা হবে না, বিবিসি বাংলা; https://tinyurl.com/wmrxcbd7