এবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে মুসলিম যুবককে গুলি করে খুন করার ৪০ ঘণ্টা পরও মরদেহ ফেরত দেয়নি ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী বাহিনী বিএসএফ।
নিহত যুবকের নাম মো. ইব্রাহিম হোসেন। তিনি উপজেলার শাহবাজপুরের ঢুলিপাড়া গ্রামের আবু তাহের দুঃখ আলীর ছেলে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ইব্রাহিম।
হিন্দুত্ববাদী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে হত্যা বন্ধের বারবার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিলেও সীমান্তে লাশের মিছিল থামছে না। একের পর এক খালি হচ্ছে দুঃখিনী মায়ের বুক।
নিহত ইব্রাহীম হোসেনের চাচাতো ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত হওয়ার একদিন পার হয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত দিচ্ছে না বিএসএফ। বিজিবির সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কিছুই লাভ হচ্ছে না। গতকাল শুনলাম পতাকা বৈঠক করে মরদেহ ফেরত দেবে কিন্তু আজ তাও হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ইব্রাহিম পরিবারের কাউকে না জানিয়েই বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। রাত দুইটার দিকে তাকে গুলি করার বিষয়টি জানতে পাই।
শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মুনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার রাত ২টার দিকে আজমতপুর সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকায় বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে আহত হন ইব্রাহিম। পরে তারা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তখন থেকেই স্বজনরা বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। আমার জানামতে এখনও মরদেহ ফেরত পাননি তারা।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আমির হোসেন মোল্লা বলেন, আজমতপুর সীমান্ত পিলার ১৮২/১-এস ও ১৮২/২-এস এলাকায় মঙ্গলবার দিনগত রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা গুলিতে নিহতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারত বরাবর বাংলাদেশকে নানা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। যার কোনটাই এখনো বাস্তবায়ন করেনি। তবুও বাংলাদেশের ভারতপ্রেমী ক্ষমতাসীন হোমড়াচোমড়ারা সেই হিন্দুত্ববাদীদেরই বন্ধুরুপে তুলে ধরতে চায়।
একদিকে ভারত সীমান্তে মুসলিমদের পাখির মতো গুলি করে মারছে, বাংলাদেশের বিষয় দিবসকে তারা নিজেদের বিজয় দিবশ বলে আখ্যায়িত করছে, আবার অপর দিকে সেই ভারতের হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রপতিকেই বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র:
—-
১। ৪০ ঘণ্টা পরও গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
https://tinyurl.com/3y5pxvw4