ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির উত্তম নগর এলাকায় একজন ১৭ বছর বয়সী মুসলিম যুবক মোহাম্মদ শওকতকে অন্তত ১৫-২০ জনের একটি হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী দল গণপিটুনি দিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে গল্প আপলোড করা নিয়ে শওকত ও হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে শওকতকে খুন করে তারা।
শওকতের বোন নার্গিস মাকতুব মিডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তার ভাইকে অন্তত ২০ জনের একটি দল হত্যা করেছে।
“আমার ভাই একটি কারখানায় কাজ করত এবং রবিবারে তার ছুটি ছিল। রোববার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে সে আর ফেরেনি। গভীর রাতে, আমরা একটি ফোন পেয়েছি যে শওকতকে উত্তম নগর এলাকার একটি স্কুলের কাছে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে শওকতকে জীবিত দেখতে পায়। সে শ্বাস নিচ্ছিল। আমরা আমার ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করলে ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা আমাদের বকাঝকা করে। কয়েকবার অনুনয়-বিনয়ের পর তারা অনুমতি দিলে তাকে মহেন্দ্রু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরে তাকে ডিডিইউ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, সেখানে পৌঁছালে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।
নার্গিস বলেছিলেন যে তার ভাই ইনস্টাগ্রামে সোহান লাল কাশ্যপ নামে একটি স্থানীয় গুন্ডার সমালোচনা করে ভিডিও আপলোড করছিলেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করে।
পুলিশের কাছে অভিযোগে নার্গিস সোহান লাল কাশ্যপসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করেছে।
শওকতের শোকার্ত মা নূরজাহান মাকতুব মিডিয়াকে বলেছে, “আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক,”।
ছেলে হারা মা কি সত্যি বিচার পাবে! কারণ শওকততো মুসলিম ছিল। ভারতের হিন্দুত্ববাদীদের কাছে মুসলিমদের কোন দাম নেই। তাই যখন যাকে ইচ্ছা পিটিয়ে হত্যা করতেও তাদের চিন্তা করতে হয় না। বড়জোর জেলে গেলেও আইন আদালত সবই তাদের পক্ষে। তাই মুক্তি পেতেও বেগ পোহাতে হয়না।
তথ্যসূত্র:
——
১.‘Sexually assaulted, lynched’: 17-year-old Shaukat’s family say ‘will fight for justice’
https://tinyurl.com/y9cdwx3y
ইয়া আসাফা!!!