পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় দেশটির গাদ্দার বাহিনীর উপর বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃত অভিযান চালাচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা। আল-কায়েদা পূর্ব আফ্রিকা শাখা আশ-শাবাবের এসকল অভিযানে শুধুমাত্র গত একদিনেই তিন ডজনেরও বেশি গাদ্দার সেনা নিহত ও আহত হয়েছে।
আঞ্চলিক সংবাদ মাধ্যম শাহাদাহ্ নিউজের তথ্যমতে, গত ২৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার, সোমালিয়ায় পশ্চিমাদের গোলাম সরকারের গাদ্দার সামরিক বাহিনীকে টার্গেট করে একে একে ৬টি সফল হামলা চালিয়েছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী হারাকাতুশ শাবাবের বীর মুজাহিদগণ।
সূত্রমতে, প্রতিরোধ যোদ্ধারা ঐদিন তাদের সবাচাইতে সফল অভিযানটি পরিচালনা করেছেন জালাজদুদ রাজ্যের তুষমারিব শহরে। সেখানে গাদ্দার সেনাদের পুরো একটি দলকে ঘিরে ভারি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালান বীর মুজাহিদরা। এতে দেশটির গোয়েন্দা বিভাগের এক অফিসার ও সামরিক বাহিনীর এক কমান্ডার সহ ৭ গাদ্দার সেনা নিহত হয়েছে। সেই সাথে এই অভিযানে আরও ১২ গাদ্দার সেনা আহত হয়েছে। এছাড়াও মুজাহিদগণ গাদ্দার বাহিনীর একটি সামরিক যানও ধ্বংস করেছেন।
সূত্রটি আরো নিশ্চিত করেছে যে, এদিন মুজাহিদগণ রাজধানী মোগাদিশুতেও ৩টি সফল অভিযান পরিচালনা করেছেন। এর একটি চালানো হয়েছে রাজধানীর বারিরী শহরে, যেখানে মুজাহিদদের হামলায় ২ সেনা নিহত এবং তৃতীয় এক সেনা আহত হয়েছে। সেই সাথে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে গাদ্দার সেনাদের একটি মোটরবাইকও।
রাজধানীতে মুজাহিদগণ তাদের দ্বিতীয় সফল অভিযানটি চালিয়েছেন হাওয়াদালী শহরে। সেখানে হামলাটি চালানো হয়েছে ক্রুসেডার মার্কিন বাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত সোমালি স্পেশাল ফোর্সকে টার্গেট করে। সুত্রটি জানিয়েছে, এই হামলায় স্পেশাল ফোর্সের বিপুল সংখ্যক সদস্য নিহত ও আহত হয়েছে।
রাজধানীতে মুজাহিদগণ তাদের তৃতীয় সফল অভিযানটি পরিচালনা করেছেন ‘বাকারাহ’ নামক একটি বাজারের কাছে, যাতে কর্নেল পদমর্যাদার এক গাদ্দার সোমালি অফিসার এবং সরকারি মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিন হারাকাতুশ শাবাব মুজাহিদগণ তাদের অন্য একটি সফল অপারেশন পরিচালনা করেন যুবা রাজ্যের কালবায়ু শহরে। সেখানে মুজাহিদদের হামলায় অন্ততপক্ষে ৫ গাদ্দার সেনা হাতাহত হয়।
একইভাবে শাবেলী সুফলা রাজ্যে এদিন একটি বরকতময় অপারেশন আঞ্জাম দেন বীর মুজাহিদগণ। যেখানে আরও ৩ গাদ্দার সেনা গুরুতর আহত হয়েছে বলে রিপোর্ট করা হয়েছে।
সোমালিয়ার ইসলামি ভূমি দিন দিন ইসলাম ও মুসলিমের শত্রুের জন্য সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। শত্রুসেনাদের একে একে নির্মূল করে মুজাহিদরা তাদের শরিয়াহ শাসিত নিরাপদ অঞ্চলের সীমানা অতি দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন।
ইনশাআল্লাহ,অচিরেই মুসলিমরা আরেকটি ইমারতে ইসলামিয়া উপহার পাবেন।