পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাব তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে খরা-দুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করছেন।
আঞ্চলিক সূত্রে জানা গেছে, আফ্রিকায় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সবচাইতে সক্রিয় এই শাখাটি প্রায়ই তাদের নিয়ন্ত্রিত রাজ্যগুলোতে অভাবী পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে। সূত্রটি যোগ করেছে যে, সেই ধারাবাহিকতায় আশ-শাবাব চলতি মাসেও তাদের নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করতে শুরু করেছেন।
প্রতিরোধ বাহিনী আশ-শাবাবের ত্রাণ কমিটি চলতি বছরের জানুয়ারির মধ্যভাগ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের হাজার হাজার খরা-দুর্গত মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। তাঁরা ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ও মধ্য সোমালিয়ার বেশ কিছু এলাকায় এসব খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা সমাপ্ত করেছেন। সেই সাথে অনেক অঞ্চলে এখনো এই ত্রান বিতরণ চলমান রয়েছে।
আশ-শাবাবের ত্রাণ কমিটি জানিয়েছে যে, বর্তমানে বকুল রাজ্যে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু করেছেন তাঁরা। এই অঞ্চলটি বর্তমানে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা।
ত্রাণ কমিটির মতে, তাঁরা গত ৩০ জানুয়ারি রবিবার, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার সীমান্তবর্তী রাবধুর জেলায় খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত জেলাটির অন্তত ৫০০ পরিবার এসব ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছেন। যার দ্বারা আগামী কয়েক মাস যাবত এসব পরিবার উপকৃত হতে থাকবেন বলেও আশা করছেন তাঁরা।
আশ-শাবাব মুজাহিদদের ত্রাণ কমিটি জানিয়েছে যে, তাঁরা এসব ত্রাণ সহায়তা খরায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল এলাকায় পৌঁছাবেন। এসময় কমিটি থেকে সামর্থ্যবান প্রতিটি সোমালি জনগণকে প্রয়োজনে সাহায্য করার জন্য একসাথে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ত্রাণ কমিটি জানিয়েছে যে, ‘বর্তমান ত্রাণ সহায়তার সম্পূর্ণ খরচ আশ-শাবাব মুজাহিদিন বহন করছেন। তাই আমরা চাই এই কাজে জনসাধারণও যেনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।’
হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদিন কর্তৃক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কিছু দৃশ্য দেখুন। এসব ত্রাণ বিতরণের দৃশ্যের সাথে আমাদের দেশের কথিত গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর লোক দেখানো ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের চিত্রটি একবার মিলিয়ে নিন, যাও আবার জনগণের টেক্সের টাকা থেকে। অনুভব করুণ শরিয়াহ শাসনের শীতলতা।