অপ্রতিরোধ্য গতিতে পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়েছে ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার বিজয় অভিযান। প্রতিনিয়ত তাদের এসব বীরত্বপূর্ণ হামলার শিকার হচ্ছে কুফ্ফার বাহিনীর সদস্যরা।
গত সপ্তাহ জুড়ে মুজাহিদগণ তেমনই কয়েকটি বীরত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা করেছেন বুর্কিনা ফাঁসোতে। যার ২ টির সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট আমাদের হাতে পৌঁছেছে।
স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী জেএনআইএম গত ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বুর্কিনা ফাসোর দুটি এলাকায় দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর উপর হামলা চালিয়েছেন।
যার প্রথমটি চালানো হয়েছে দেশটির বুলগৌ এলাকায়। যেখানে একটি স্বর্ণের খনিতে কাজ করছিল AVERO RESOURCES MINING নামক একটি কোম্পানি। যারা ক্রুসেডার ফ্রান্সের হয়ে দেশটির মূল্যবান সব স্বর্ণ নামমাত্র কিছু মূল্য দিয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত এবং উম্মাহর কল্যাণকামী বীর মুজাহিদরা এটি সহ্য করতে পারেননি। তাই তাঁরা ক্রুসেডারদের হয়ে কাজ করা প্রত্যেকটি বাহিনীকে টার্গেট করে হামলা চালান।
আর সেই ধারাবাহিকতায় এই স্বর্ণের খনিটিতেও হামলা চালান মুজাহিদগণ। যেখানে মুজাহিদগণ প্রথমে ক্রুসেডারদের সহায়তাকারী দেশটির গাদ্দার সামরিক বাহিনীর ৩ অফিসারকে হত্যা করেন এবং আরও ২ অফিসারকে বন্দী করে নিয়ে যান। এছাড়াও ঘটনাস্থলে আরও অনেক গাদ্দারকে হত্যা ও গুরতর আহত করেন মুজাহিদগণ। ধারণা করা হচ্ছে, এখানে মুজাহিদদের পরিচালিত হামলায় কয়েক ডজন গাদ্দার নিহত ও আহত হয়েছে।
এদিন প্রতিরোধ বাহিনীর বীর মুজাহিদগণ আরও একটি বীরত্বপূর্ণ অভিযান চালান বুর্কিনা ফাঁসো ও আইভরিকোস্ট সীমান্তের হেলিন্তিরা এলাকায়। যেখানে মুজাহিদগণ ক্রুসেডার ফ্রান্সের গোলাম বুর্কিনা ফাঁসোর সেনাদের টার্গেট করে আইইডির বিস্ফোরণ ঘটান। যাতে অন্ততপক্ষে ২ গাদ্দার সেনা নিহত হয়। সেই সাথে আরও বেশ কিছু সেনা আহত হয়।
মুজাহিদদের হামলায় দিশেহারা হয়ে ইতিমধ্যে বুর্কিনা ফাঁসো সরকারের পতন ঘটেছে, সেখানে সেনাবাহিনী সরাসরি ক্ষমতা দখল করে এখন ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তবে ঐ পশ্চিমা গোলামদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ইসলামের বিজয়াভিযান এগিয়ে নিচ্ছেন ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জেএনআইএম এর বীর মুজাহিদগণ।