সম্প্রতি ভারতের জবরদখলকৃত কাশ্মীরে হিন্দুত্ববাদী সেনা ও ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর মধ্যে কয়েক ঘন্টার একটি লড়াই সংঘটিত হয়। এসময় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনীর ২ জন মুজাহিদ শাহাদাত বরণ করেন।
এই পেক্ষাপটে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আল-কায়েদা মানহাযের কাশ্মীর ভিত্তিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ এর মিডিয়া শাখা ‘আল-হুর’ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
‘শাহাদাতবরণ করাই একজন মুমিনের জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য’ শিরোনামে বিবৃতিটি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে প্রতিরোধ যোদ্ধা ‘আদিল নিসের দার’ ও ‘আখলাক হাজাম’ নামের দুজন মুজাহিদের শাহাদাতবরণে শোক প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুজাহিদ আদিল নিসের দার এর ছদ্মনাম ছিল ‘সুহাইল ভাই’। তিনি পুলওয়ামার অন্তর্গত মালানপোরা এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ভারতের দখলদারীত্ব থেকে কাশ্মীরকে আযাদ করতে জিহাদি কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। হয়তো শরীয়ত, নয়তো শাহাদাত – এই মানহাযকে আঁকড়ে ধরে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন দাওয়াহ এবং জিহাদ – উভয় ময়দানেই।
আর মুজাহিদ ভাই আখলাক হাজাম এর ছদ্মনাম ছিল ‘উমর ভাই’। তিনি কুলগাম এর কুজার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২১ এর আগস্ট মাসে তিনি অন্য একটি স্বাধীনতাকামী বাহিনীর সাথে যুক্ত হন। কিন্তু বিভিন্ন কারণে ঐ বাহিনীটির প্রতি তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়নি। এসময় কাশ্মীর ভিত্তিক জনপ্রিয় ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আনসার গাযওয়াতুল হিন্দের কর্মপদ্ধতি তাকে আকৃষ্ট করে। ফলে তিনি দলটির আমির গাজি খালিদ ইব্রাহিম (হাফিযাহুল্লাহ) এর কাছে আনুগত্বের বাইয়াত দেন। সেই সাথে তিনি প্রতিরোধ বাহিনী আনসার গাযওয়াতুল হিন্দের সাথে শামিল হয়ে যান। তার ব্যপারে নিজ সহযোদ্ধারা বলেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত নম্র স্বভাবের, আর আল্লাহর স্মরণে তার চক্ষুদ্বয় সদা অশ্রুসিক্ত হয়ে থাকত।
এরপর বিবৃতিতে শহীদ মুজাহিদদের পরিবারকে সান্ত্বনাবার্তা প্রদান করা হয়। বলা হয়, উনাদের মত মুজাহিদরাই রক্ত ও ঘাম ঝরিয়ে হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ ও জিহাদের ঝান্ডাকে সদা সমুন্নত রেখে যাচ্ছেন। তাঁরা তাদের পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন, যার অনুকরণ তারা করতে পারবেন।
বিবৃতিতে এরপর “হয়তো শরীয়ত, নয়তো শাহাদাত” – এর মানহাজের অনুসারি মুসলিমদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়, “হিন্দুত্ববাদী ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধে মহান আল্লাহর সাহায্য দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খুব শীঘ্রই হিন্দুত্ববাদী কুফফারদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করা হবে, যার প্রস্তুতির কাজ চলছে।”
“অতএব হে মুমিনগণ! আপনারা আপনাদের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আমাদের এই শহীদি কাফেলাকে সাধ্যমতো সাহায্য করুন। আমাদের এই কাফেলা চলে না কোনো দেশ বা রাষ্ট্রের উদ্যোগে ও সাহায্যে। আমাদের এই কাফেলা চালিত হয় আল্লাহর দ্বীনের প্রতি তাঁর বান্দাদের দায়িত্ববোধ থেকে।” – এই বলে বার্তাটি শেষ করা হয়।
তথ্যসূত্র :
https://b.top4top.io/p_2235zpii11.jpg
লিখেছেন : ত্বহা আলী আদনান
subnhanallah, allah amader sahadater manzil porzont powcar tawfik dan korun
allah vaiderke jannater ucho makam dan korun,sathe amaderke o kobl koron ameen!