হানজালা ইবনে আবু আমের আল আনসারী আল আউসী। মদীনার আউস গোত্রের আমর ইবনে আউফ বংশের অধিবাসী ছিলেন তিনি। তাঁর পিতার নাম ছিলো আমর মতান্তরে আবদে আমর। হযরত হানজালা (রাঃ) এর পিতা আমর, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শুভাগমনের পূর্বে শেষ নবীর আগমনের সুসংবাদ শুনাতো। তাঁর সত্যবাদিতার সাক্ষী দিতো। এই ধর্মানুরাগিতার কারণে দুনিয়াবী রাজত্ব থেকে হাত গুটিয়ে ধর্মীয় রাজত্ব গ্রহণ করেছিলো। আর এ জন্যেই জাহেলী যুগে সে রাহিব (পাদ্রী বা সন্ন্যাসী) হিসেবে প্রসিদ্ধ ছিলো।
কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হলো, শেষ অবধি তাঁর পিতার ভাগ্যে ইসলামের দৌলত নসীব হয়নি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনায় আসলে তার ধর্মীয় নেতৃত্বে যখন টান পড়ে, তখন সে প্রচণ্ড রকমের ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে ওঠে। মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূলের সঙ্গে বেশ সখ্যতা ছিলো তার। উভয়ে মিলে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করতে আরম্ভ করে।
মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূল মদীনাতে থেকেই ইসলামের বিরোধিতা করলেও হানজালা (রাঃ) এর পিতা ইসলামের প্রতি সীমাতিরিক্ত বিদ্বেষের কারণে মদীনা ত্যাগ করে মক্কায় চলে যায়। মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে মিলে ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করতে থাকে। উহুদের যুদ্ধে মুশরিকদের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে “ফাসিক” উপাধী দেন। ইতিহাসে আজও সে এই উপাধিতেই পরিচিত। অষ্টম হিজরীতে যখন মক্কার নিকটবর্তী “বাতহা” নামক অঞ্চল পর্যন্ত তাওহীদের বাণী ছড়িয়ে পড়ে, তখন সে রোমে পারি জমায়। সেখানেই নবম কিংবা দশম হিজরিতে কাফের অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পিতার অবস্থান ইসলামের বিরুদ্ধে যতটা মজবুত ছিলো, ইসলামের পক্ষে ছেলের অবস্থান ছিলো তারচেয়েও কয়েকগুণ বেশি মজবুত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদীনায় আসার পরপর-ই তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুহাজির সাহাবী শাম্মাস ইবনে উসমান (রাঃ)-কে তাঁর সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে তিনি ইসলামের খেদমত করেন। ইসলামের পক্ষে তাঁর অবস্থান এতই সুদৃঢ় ছিলো যে, একবার তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত হয়ে আরজ করেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার অনুমতি হলে আমার পিতাকে হত্যা করে আসতাম!” দয়ার নবী তাঁর সে আরজি মঞ্জুর করেননি। ইসলামের জন্য তাঁর কুরবানী পেশ করার এই আকাঙ্ক্ষা প্রশংসিত হয়ে থাকে ইতিহাসের পাতায়। আজও তা প্রত্যেকটা মুমিন-দিলকে অনুপ্রাণিত করে। ইসলামের জন্য যারা নিজেদের পিতাকে পর্যন্ত হত্যা করতে কুণ্ঠিত হতেন না, তিনি ছিলেন তাঁদের অন্যতম।
বদরের যুদ্ধ যেহেতু অনাকাঙ্ক্ষিত ছিলো এবং তা হঠাৎ করেই সংঘটিত হয়েছিলো, তাই তিনি শরীক হতে পারেননি। তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে সংঘটিত উহুদ(১) যুদ্ধই তাঁর জীবনের প্রথম ও শেষ যুদ্ধ। এ যুদ্ধেই তিনি শাহাদাত বরণ করেন। সীরাতের গ্রন্থগুলোতে এর বিবরণ উঠে এসেছে এভাবে— মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালূলের কন্যা জামীলাহকে তিনি বিবাহ করেন। উহুদের আগের রাতে তাঁদের প্রথম মিলন হয়। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে অনুমতি নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করেন। ফজরের নামাজ আদায়ান্তে তিনি ঘরে যান। পবিত্র ভালোবাসায় তাঁরা মধুর সময় যাপন করছিলেন, এমন সময় যুদ্ধের চূড়ান্ত ডঙ্কা বেজে ওঠে। সাথে সাথে তিনি ওঠে দাঁড়ান। স্ত্রীর ভালোবাসা বিসর্জন দিয়ে খোলা তরবারী হাতে বেরিয়ে পড়েন যুদ্ধের ময়দানে।
নববধূর মনমাতানো ভালোবাসা, অনাগত ভবিষ্যতের সুখ-কল্পনা কিছুই তাঁকে বেঁধে রাখতে পারেনি। প্রভুর ভালোবাসায় তিনি পাগল হয়ে ছুটেন অনন্তের অভিযাত্রায়। যাওয়ার আগে নিজের স্ত্রীকে শুধু এতটুকু বলে যান, “বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে দুনিয়ায়, আর মরে গেলে দেখা হবে জান্নাতে।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে যখন মিলিত হন তখন তিনি যুদ্ধের কাতার সোজা করছিলেন।
যুদ্ধের ময়দান উত্তপ্ত। তুমুল লড়াই চলছে। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। যুদ্ধে তিনি অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শন করে চলেছেন। কাফেরদের কমাণ্ডার আবু সুফিয়ান,(১) সেনাদলের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পুরা বাহিনীকে পরিচালনা করছিলো। হযরত হানজালা (রাঃ) সরাসরি আবু সুফিয়ানকে টার্গেট বানিয়ে তাকে ঘিরে রাখা সৈন্যদের উপর বীরবিক্রমে ঝাপিয়ে পড়েন। তাঁর একার সামনে টিকতে না পারে শত্রুবাহিনী দু’দিকে সরে পড়ে। তিনি প্রচণ্ড রকমের আক্রমণ করেন আবু সুফিয়ানের উপর।
আবু সুফিয়ান আঘাতটি প্রতিহত করতে পারলেও এর ধাক্কা সামলাতে না পেরে ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে মাটিতে। হাতের অস্ত্রটিও ছিটকে পড়ে দূরে। আর এক আঘাতেই তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। হযরত হানজালা (রাঃ) তরবারি উঁচু করে ধরলেন। আবু সুফিয়ান মাটিতে পড়ে চিৎকার দিয়ে বলছে, “হে মক্কার বীর পুরুষেরা! আমি তোমাদের সরদার আবু সুফিয়ান বলছি; আমাকে সাহায্য করো!”
শাদ্দাদ ইবনে আসওয়াদ লাইসী(২) ছুটে আসলো আবু সুফিয়ানের দিকে। তরবারি উঁচিয়ে আবু সুফিয়ানকে মারতে উদ্যত হযরত হানজালা (রাঃ) কে পেছন দিক থেকে আক্রমণ করে বসলো। ইসলামের অকুতোভয় এই সাহসী বীর লুটিয়ে পড়লেন মাটিতে। মুহূর্তের মধ্যেই তাঁর রূহ চলে গেলো জান্নাতের সবুজ বাগিচায়। রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু!
যুদ্ধ শেষ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাতে গড়া সত্তর জন সাহাবী শাহাদাত বরণ করেছেন এই যুদ্ধে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ভারাক্রান্ত হৃদয়ে শহীদদের লাশ খোঁজে খোঁজে একত্রিত করছেন। খুঁজতে খুঁজতে হযরত হানজালা (রাঃ) এর লাশের কাছে যখন পৌঁছলেন, দেখতে পেলেন তাঁর মাথা ভিজা। চুল টপকে পানি পড়ছে। সেই পানির ফোঁটা থেকে মেশকের ঘ্রাণ বের হচ্ছে। তিনি (সাঃ) সাহাবিদের লক্ষ করে বললেন:
إنَّ صاحِبَكُم تُغسِّلُه المَلائكةُ، فسأَلوا صاحِبَتَه، قالتْ: إنَّه خرَجَ لَمّا سمِعَ الهائعةَ، وهو جُنُبٌ. فقال رسولُ اللهِ ﷺ: لذلك غسَّلَتْه الملائكةُ.
তোমাদের এই সাথীকে ফেরেশতারা গোসল করিয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকে ব্যাপারটি জিজ্ঞেস করে দেখো! তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করে জানা গেলো, তিনি যুদ্ধের আহ্বানে সাড়া দিতে দ্রুত বেরিয়ে পড়েছেন। তাড়াহুড়ার কারণে ফরজ গোসলের কথাও ভুলে গেছেন। সব শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এ জন্যই ফেরেশতারা তাঁকে গোসল করিয়েছেন।” (উসদুল গাবাহ-২/৮৫)
সেদিন থেকেই হযরত হানজালা (রাঃ) এর উপাধী হয় “গাসীলুল মালা-য়িকাহ” (ফেরেশতাদের দ্বারা গোসলকৃত)
এই উম্মতের মধ্যে এই সৌভাগ্য একমাত্র তিনিই অর্জন করেছেন।
পরবর্তীতে আউস গোত্রের সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হযরত হানজালা (রাঃ)-কে নিয়ে গর্ব করতেন। প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন:
افتَخَر الحيّانِ منَ الأنصارِ الأوسُ والخزرجُ فقالتِ الأوسُ: منا غِسيلُ الملائكةِ حنظلةُ بنُ الراهبِ ومِنا منِ اهتَزَّ له عرشُ الرحمنِ سعدُ بنُ معاذٍ
আউস এবং খাযরাজ গোত্রের আনসারী সাহাবীগণ একবার পরষ্পর একে অপরের উপর গর্ব করতে আরম্ভ করেন। তখন আউস গোত্রের সাহাবীগণ বলেন, “হযরত হানজালা ইবনে রাহিব তো আমাদের গোত্রের-ই ছিলো; যাকে ফেরেশতারা গোসল করিয়েছেন! সেই সা’দ ইবনে মু’আজও তো আমাদের গোত্রের; যাঁর মৃত্যুতে আল্লাহ তা’আলার আরশ কেঁপে উঠেছিলো!…(তাবারানী-৩৪৮৮)
আবু সুফিয়ানের এক ছেলের নামও ছিলো হানজালা। বদর যুদ্ধে সে মুসলমানদের হাতে নিহত হয়েছিলো। তাই উহুদ যুদ্ধে হযরত হানজালা (রাঃ) এর মৃত্যুতে আবু সুফিয়ান যারপরনাই খুশী ছিলো। এ নিয়ে তার যেনো গর্বের অন্ত ছিলো না! সে বলেছিলো, ‘হানজালা হানজালার পরিবর্তে।’
আব্দুল্লাহ নামে হযরত হানজালা (রাঃ) এর একজন সন্তান ছিলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়াফাতের সময় তার বয়স হয়েছিলো সাত বছর। ৬০ হিজরীতে প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর ছেলে ইয়াযিদ ক্ষমতায় বসে এবং অল্পসময়ের মধ্যেই সে মুসলিম ভূখণ্ডের জন্য একজন জালিম শাসক হিসেবে আবির্ভূত হয়। তখন মদীনায় অবস্থিত সাহাবা ও তাবেঈগণ ইয়াযিদকে দেওয়া বাইয়াত ভঙ্গ করেন এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে হানজালা-পুত্র আব্দুল্লাহ (রাঃ) ও ছিলেন। এই কারণে ইয়াযিদ ৩০ হাজারের এক বিশাল সৈন্যদল প্রেরণ করে মদীনা অভিমুখে। যাদের হাতে মদীনার অগণিত সাহাবী ও তাবে’ঈর রক্ত ঝরে। ইতিহাসে এই নির্মম ট্রাজেডি “হাররার যুদ্ধ” নামে পরিচিতি পায়। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হানজালা রাঃ এই যুদ্ধে অত্যন্ত বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন এবং শেষ অবধি পিতার অনুসৃত পথে শাহাদাতের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে আপন পিতার সঙ্গে মিলিত হন। আল্লাহ তা’আলা পিতা-পুত্র উভয়কেই জান্নাতের উঁচু মাকাম নসীব করেন এবং আমাদেরকেও তাদের উত্তম অনুসারী হয়ে ইসলামের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার মানসিকতা ও তাওফীক দান করেন,- আমীন!
নাসীহাহঃ
——–
এক. নেতৃত্ব অনেক সময় সত্য গ্রহণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। হতে পারে তা দেশীয় নেতৃত্ব বা ধর্মীয় নেতৃত্ব। যেমনটি হয়েছিলো হযরত হানজালা (রাঃ) এর পিতার ক্ষেত্রে। বাহ্যিকভাবে সে নিজের ধর্মীয় নেতৃত্বে টান পড়ার কারণেই ইসলাম গ্রহণ করেনি৷ আল্লাহ তা’আলা আমাদের হেফাজত করেন!
দুই. পিতার প্রতি সম্মান,শ্রদ্ধা ও আনুগত্য আপন স্থানে অবশ্যই ঠিক আছে, কিন্তু পিতা যখন সত্যের বিপক্ষে অবস্থান নিবে তখন আর পিতার আনুগত্য চলবে না। হাদীসে নববীতে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে:” স্রষ্টার অবাধ্যতায় সৃষ্টির কোনো আনুগত্য চলবে না!”
তিন. প্রকৃত মুমিন যারা, স্ত্রী-সন্তান বা দুনিয়ার যাবতীয় বস্তুর ভালোবাসা তাদেরকে কখনোই জিহাদের পথ থেকে বিরত রাখতে পারে না। হযরত হানজালা সহ অসংখ্য সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এই সত্য বাণীর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
চার. জিহাদের ডাকে সাড়া দিতে হযরত হানজালা রাঃ এত দ্রুত বেরিয়ে পড়েন যে, ফরজ গোসলের কথাও ভুলে যান। মহান আল্লাহ তা’আলা এই কাজটিকে এত পছন্দ করেছেন যে, তাঁকে ফেরেশতাদের মাধ্যমে জান্নাতের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! এটা কত বড় সৌভাগ্যের বিষয়! যে আল্লাহ তা’আলা শহীদের লাশকে এত সম্মানিত করেছেন তিনি এখনো আছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যারা তাঁর দ্বীনের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন তাদের সঙ্গে অনুরূপ মু’আমালার ধারা অব্যাহত রাখছেন, আলহামদুলিল্লাহ। আমাদেরকেও যেনো আল্লাহ তা’আলা শহীদদের কাতারে শামিল করেন, আমীম!
নোটঃ
—–
(১) মদীনা থেকে উত্তরে প্রায় তিন মাইল দূরে অবস্থিত একটি পাহাড়ের নাম উহুদ। হিজরী তৃতীয় সনের শাওয়াল মাসে সেই পাহাড়ের পাদদেশে সংঘটিত ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তর যুদ্ধকে বলা হয় উহুদ যুদ্ধ।
(২) ফাতহে মক্কার সময় আবু সুফিয়ান ইসলাম গ্রহণ করে সাহাবী হন।
(৩) ইবনে শাউব (شَعُوْبْ) নামে প্রসিদ্ধ ছিলো।
লেখক : মুফতি আব্দুল্লাহ মুনতাসির
তথ্যসূত্র :
(১) আল ইসাবাহ ফী তাময়ীযিস সাহাবাহ।
(২) উসদুল গাবাহ।
(৩) সিফাতুস সাফওয়াহ।
(৪) সিয়ারুস সাহাবাহ।
এই ঘটনা পড়ার পরে জেহাদি প্রেরণা জাগ্রত হল ঈমান বৃদ্ধি পেল।