ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের ইসলাম বিদ্বেষ ও জিঘাংসা কিছুতেই মুসলিমদের পিছু ছাড়ছে না। কর্ণাটক রাজ্যে আবারও হিজাব কাণ্ডে চাকরি থেকে ৭ জন মুসলিম শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, কর্নাটকের গদাক জেলায়।
কর্ণাটকের গদাক জেলায় সিএস পাতিল বয়েজ এবং সিএস পাতিল গার্লস স্কুলে এসএসএলসি (SSLC) পরীক্ষা চলছিল। আর এই পরীক্ষায় বসা নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত। হিজাব পরিহিত শিক্ষার্থীদের দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিতে দেওয়ায় হিন্দুত্ববাদীরা এই বিতর্ক ও বিদ্বেষ উস্কে দিয়েছে।
গত (৩০-০৩-২২) বুধবার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, গত ১৫ মার্চ তারিখে সিএস পাতিল বয়েজ এবং সিএস পাতিল গার্লস স্কুল এই দুই সেন্টারে এসএসএলসি পরীক্ষা চলছিল। এই পরীক্ষাকেন্দ্রে মেয়ে পরীক্ষার্থীদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়ায় হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে পড়েছেন ওই দুই স্কুলের সুপারিটেন্ডেন্ট সহ সাত শিক্ষক।
এদিকে, কর্ণাটকের হুব্বাল্লি জেলার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা চলছিল। ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে এক ছাত্রীর বোরখা পরা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। তাকে বলা হয়- পরীক্ষায় বসতে গেলে খুলে আসতে হবে বোরখা।
ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা কথিত বৃহত গণতান্ত্রিক দেশ দাবি করে, অথচ তারা মুসলিমদের বেলায় যা ইচ্ছে তাই করছে। ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বললেও ইসলামের উপর ঠিকই আঘাত করছে। তারা যা খুশি তা-ই কোর্টে পারবে, শুধু মুসলিমরা ধর্মীয় বিধান মানতে গেলেই বাধা।
এমন অবস্থায় হিন্দুত্ববাদীদের ধোকায় না পরে মুসলিমদেরকে ঐকবদ্ধভাবে নিজেদের অধিকার আদায়ের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হক্বপন্থী উলামায়ে কেরাম।
তথ্যসূত্র:
—–
1. 7 suspended for allowing students in hijab to take class 10 exams in K’taka
– https://tinyurl.com/yam2hjdm