২২ বছর বয়সী মুসলিম যুবককে উত্তর প্রদেশের বেরিলির একটি থানায় স্টেশন হেড, চার কনস্টেবল এবং দুই “অজ্ঞাত” হিন্দুত্ববাদী মিলে অমানবিক নির্যাতন করেছে।
নির্যাতিত ব্যক্তির মা বলেছে, “সাব-ইন্সপেক্টর সত্য পালের নেতৃত্বে পুলিশ, আমার ছেলের মলদ্বারের ভিতরে একটি লাঠি ঢেলে দেয় এবং তাকে বারবার বৈদ্যুতিক শক দেয়।”
মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট বিবেচনা করে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বিনা অপরাধে তাকে আটক করেছিল।
হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতনে গুরুতর আহত হওয়ার পরে মুসলিম ব্যাক্তিটি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বারবার খিঁচুনি হয়৷ তিনি খণ্ডকালীন সবজি বিক্রেতা হিসাবে কাজ করতেন। ২ মে, পুলিশ তাকে গোহত্যার অভিযোগে মামলা করা একজন ব্যক্তির সাথে শুধুমাত্র সম্ভাব্য যোগসূত্রের সন্দেহে তুলে নেয়। আলাপুর থানার সীমানার অন্তর্গত কাকরালা এলাকার বাসিন্দা ঐ মুসলিম যুবকের পূর্বে কোনো অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড নেই।
লোকটির এক আত্মীয় বলেছেন, “পুলিশরা সারা রাত আমার শ্যালককে নির্যাতন ও মারধর করেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তারা তাকে ১০০ টাকা দেয় এবং দুই দিন পর তাকে বাড়ি ফেরত পাঠায়। এরপর থেকে প্রতিদিনই তার খিঁচুনি হচ্ছে। শুক্রবার, তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।”
একজন ডাক্তার, যারা হাসপাতালে ভিকটিমকে পরীক্ষা করেছেন। তিনি বলেছেন, “রোগীর নিয়মিত খিঁচুনি হচ্ছে, যার মানে তার স্নায়ুতন্ত্র প্রভাবিত হয়েছে, সম্ভবত একটি শকের কারণে। আমরা বাধা নিষেধের কারণে মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে পারছি না।”
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুবক যেন ভারতে হিন্দুত্ববাদীদের অত্যাচারে ধুঁকতে থাকা মুসলিমদের প্রতীক, যার বাঁচার আশা ক্ষীণ।
তথ্যসূত্র:
—–
1. UP: Muslim vendor tortured in Police station, 5 cops booked
– https://tinyurl.com/ycxzyef8
2. Video link
– https://tinyurl.com/2czc87h3