দখলকৃত ফিলিস্তিনে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই ৫১টি স্থাপনা ধ্বংস ও ৪০ জন মুসলিমকে বাস্তুচ্যুত করেছে বর্বর ইহুদি সন্ত্রাসীরা।
এ বছরের ২৮ জুন থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সময়ের মধ্যে “বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা প্রতিবেদন”-এ জাতিসংঘ জানিয়েছে যে, সন্ত্রাসী ইহুদীরা দখলকৃত জেরুজালেম এবং এর পশ্চিম তীরের অঞ্চলের পূর্ব অংশে ৫১ টি ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন কাঠামো ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে। এর ফলে, ২১ জন শিশু সহ ৪০ জন মুসলিম বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং প্রায় ৫০০ জন মুসলিমের জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ২০২২ সালের শুরু থেকে সন্ত্রাসী ইহুদীরা কমপক্ষে ৪০৭ টি ফিলিস্তিনি মালিকানাধীন কাঠামো ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
এখানে পাঠকের মনে হতে পারে যে, জাতিসঙ্ঘ অন্তত নির্যাতিত মুসলিমদের সংখ্যা বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করে ভাল কাজ করেছে। কিন্তু জাতিসঙ্ঘ নামক অমুসলিম সঙ্ঘটি কখনোই মুসলিমদের ‘উপকারের’ নিমিত্তে এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি, বরং তারা সবসময় প্রকৃত সংখ্যা আড়াল করত চেষ্টা করে, যা প্রকাশিত সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি। আর এমন ‘সংখ্যা প্রকাশ’ অনেক সময় আক্রান্ত স্থানের আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত মুসলিমদের মনে ভীতি তৈরির উদ্দেশ্যেও করা হয়ে থাকে বলে মনে করেন বিশ্লেষকগণ।
মুসলিম বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বছরের পর বছর ধরে ইহুদীদের এত এত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পরও সারা বিশ্ব নির্বাক। ইহুদীদের বিরুদ্ধে কোন সামরিক বা অন্য পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো মুসলিমদের প্রতিরোধকে তারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে বহুদিন ধরে। মানবতাকে কথিত এই ‘সন্ত্রাসবাদের’ হাত থেকে বাঁচানোর অজুহাতে লাখ লাখ মুসলিমকে হত্যা করেছে তারা- এটুকুই মুসলিম বিশ্বের সামনে তাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য যথেষ্ট।
তাই মুসলিমদের উচিত, ফিলিস্তিন ইস্যুতে কথিত জাতিসংঘের পেছনে না ঘুরে বরং নিজেদেরই একটি ব্যবস্থা করা এবং ইহুদী সন্ত্রাসীদের ফিলিস্তিনি মুসলিমদের ওপর চলা দীর্ঘ সময়ের এই নির্যাতনের একটা সমাধান নববী মানহাজ অনুযায়ী খুঁজে বের করা- এমনটাই মত ইসলামি চিন্তাবীদদের।
তথ্যসূত্র :
———
1. UN: In two weeks, ‘Israel’ demolished 51 Palestinian-owned structures, displaced 40 people
– https://tinyurl.com/2p8aajav
We should attack against Israel.Insaallah we are coming soon!